মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যোগ্য়দের সংখ্যা থেকে শুরু করে কেন ওএমআর এর সংরক্ষণের সময় কমিয়ে ১ বছর করা হল এসএসসি-র (SSC Scam) কাছে এমন অনেক প্রশ্নের কোনও উত্তর নেই। এই প্রশ্নগুলির উত্তর পেলেই এত লোককে চাকরি হারাতে হত না মনে করছে রাজ্যের শিক্ষামহল। আসল ওএমআর থাকলে আইনি প্রক্রিয়া এত জটিল হত না, বলে দাবি আইনজীবীদের। আগে দীর্ঘদিনের জন্য সংরক্ষণ করা হত ওএমআর। কিন্তু ২০১৬ সালের তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যানের আমলে নিয়ম পরিবর্তন করে ১ বছরের জন্য সংরক্ষিত হচ্ছে ওএমআর। আসল ওএমআর এর স্ক্যানড কপি সিস্টেমে থাকলে অনেক আগেই যোগ্য-অযোগ্যের বাছাই সম্ভব হত। প্রশ্ন উঠছে দুর্নীতি আড়াল করতেই কি এই পদক্ষেপ করা হয়েছিল।
ওএমআর সংরক্ষণ
এসএসসি-র (SSC Scam) দাবি, অযোগ্য বলে বিবেচনা করা হয়েছিল ৫২৫০ জনকে। কিন্তু হাইকোর্ট ২০১৬ সালের পুরো প্যানেলই বাতিল করে দেয় ফলে চাকরি গিয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের। কিন্তু এসএসসি যাঁদের অযোগ্য বলেছিল আদালতের প্রশ্ন ছিল বাকিরা যে যোগ্য তার প্রমাণ কী? এর কোনও স্পষ্ট উত্তর নেই। বরং এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার মানছেন, ‘‘বাকিরা যে প্রত্যেকে যোগ্য, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নই। পুরোপুরি শংসাপত্র দিতে পারব না।’’ আগে উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংরক্ষণের নিয়ম ছিল তিন বছর। হঠাৎ ২০১৬ সালেই তা কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল কেন? এবারও নিরুত্তর এসএসসি চেয়ারম্যান। । চাকরিহারা এবং চাকরিপ্রার্থীদের আক্ষেপ, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগের জন্য এসএসসি-র নেওয়া পরীক্ষার উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো ২০১৬-তে নিযুক্ত সকলের চাকরি বাতিল করতে হত না হাইকোর্টকে। তাঁদের বক্তব্য, সে ক্ষেত্রে কারা যোগ্যতার নিরিখে চাকরি পেয়েছিলেন, তা বোঝা যেত।
আরও পড়ুন: কালবৈশাখীর দেখা নেই, কলকাতার তাপমাত্রা ছুঁতে পারে ৪২ ডিগ্রি!
দুর্নীতিই কি উদ্দেশ্য
২০১৬ সালের পরে এসএসসি-তে (SSC Scam) নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা আর হয়নি। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়াই সম্প্রতি বাতিল করেছে হাইকোর্ট। ২০১৬-র উত্তরপত্র এক বছর সংরক্ষণ করার পরে তা নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলে এ দিন ফের জানিয়েছেন সিদ্ধার্থ। কেন? তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তবে মেনেছেন যে, উত্তরপত্র সংরক্ষিত থাকলে হয়তো আইনি জটিলতা তৈরি হত না। তিনি জানান, ২০১৬ সালেই বদল করা হয়েছিল উত্তরপত্র সংরক্ষণ নীতি। সে বারই ওএমআর শিটের উপরে উত্তর লেখাও শুরু হয়। তার আগে এসএসসি-র উত্তরপত্র তিন বছর সংরক্ষণের নিয়ম ছিল। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, দুর্নীতি করার উদ্দেশ্যেই ২০১৬-তে উত্তরপত্র সংরক্ষণের সময় কমিয়ে এক বছর করা হয়েছিল। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছে, যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা আলাদা করে দেয়নি এসএসসি। আর তাতেই গোটা প্যানেল বাতিল করতে হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours