মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা রয়েছে। তাই তাঁর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশেষ নির্দেশ দিল আদালত।
শুক্রবার এসএসসি কাণ্ডে (SSC Scam) পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Chatterjee) উভয়কেই ইডির বিশেষ আদালেত পেশ করা হয়। আদালত তাঁদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। আদালতে তোলার পর সওয়াল করতে গিয়েই অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির কথা উল্লেখ করেন তাঁর আইনজীবী৷ জেল হেফাজতে থাকাকালীন পরীক্ষা করেই যাতে অর্পিতাকে খাবার দেওয়া হয়, সেই আর্জিও জানান তিনি৷
প্রায় একই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ইডি-র (ED) তরফেও। ইডি-র আইনজীবীও সওয়াল করতে গিয়ে অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেন৷ গোয়েন্দা সূত্রেই তাঁদের কাছে এই তথ্য রয়েছে বলে দাবি করেন ইডি-র আইনজীবী৷ অর্পিতার প্রাণের ঝুঁকির আশঙ্কা থাকায় ইডি হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে সব খাবারই পরীক্ষা করে দেওয়া হত বলেও দাবি করেন তিনি৷
আরও পড়ুন: ডাল-রুটি খেয়ে মেঝেয় কম্বল পেতে শুয়ে পড়লেন পার্থ, খাবার মুখেই তুললেন না অর্পিতা
পাশাপাশি, গত ২৪ জুলাই, ব্যাঙ্কশাল কোর্ট থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল ইডি-র কনভয়। তারপরই পার্থ-অর্পিতার যাত্রাপথে, ইডির কনভয়ে গাড়ির সংখ্যা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। ইডি’র এই মন্তব্য অত্যন্ত ইঙ্গিতপূর্ণ কারণ, আদালতে তোলার আগে ইএসআই জোকা হাসপাতালে অর্পিতা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণভাবে বলেন, যা বলার তিনি ইডিকে বলে দিয়েছেন।
নিরাপত্তার পাশাপাশি, অর্পিতার যেহেতু একটি সামাজিক পরিচয় রয়েছে, তাই প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিয়ে তাঁকে আলাদা সেলে রাখার আর্জিও জানান তাঁর আইনজীবী। যদিও, অর্পিতাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির সুবিধা দেননি বিচারক৷ তবে অর্পিতার জীবন সংশয়ের আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে জেলের সুপারকে দু'টি নির্দেশ দেন বিচারক৷ প্রথমত, জেলে থাকাকালীন অর্পিতার নিরাপত্তায় যাতে কোনও ঘাটতি না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে৷ পাশাপাশি, অর্পিতার শারীরিক অবস্থা কেমন থাকে, তিনি কী খাচ্ছেন, এই সমস্ত তথ্য রিপোর্ট আকারে আদালতকে জানানোরও নির্দেশ দেন বিচারক৷ তারপরই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে মহিলা জেলে নিয়ে যাওয়া হয়৷
আরও পড়ুন: ঘনিষ্ঠতা! তিনি ভালোভাবে চেনেনই না অর্পিতাকে, পার্থর কথা শুনে অবাক ইডি
+ There are no comments
Add yours