মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তীব্র আর্থিক সঙ্কটের (economic crisis) মুখে পড়ে শেষমেশ নিজেদের ঋণখেলাপি (defaulter) ঘোষণা করল শ্রীলঙ্কা (sri lanka)। বিদেশি ঋণ নিয়ে দু রকম প্রস্তাব দিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের সরকার। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (IMF) থেকে সাহায্য মিললে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে বলে জানিয়েছে রাজাপক্ষের সরকার।
১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা লাভ করে শ্রীলঙ্কা। তার পর থেকে এহেন পরিস্থিতির সম্মুখীন হননি দ্বীপরাষ্ট্রের বাসিন্দারা। এক সময়ের সোনার শ্রীলঙ্কা এখন যেন নেই-রাজ্যের দেশ। চাল-গ্যাস-কেরোসিন-পেট্রোল বাড়ন্ত। কাগজের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। নিউজ প্রিন্ট আমদানি করার ডলার না থাকায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে খবরের কাগজ ছাপানো। কয়লার অভাবে দিনে প্রায় ১৩ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ ছাঁটাই হচ্ছে। সন্ধে হলেই রাস্তাঘাট নিষ্প্রদীপ। বিদ্যুৎ না থাকায় দহন দিনেও চালানো যাচ্ছে না ফ্যান-এসি। যাঁদের হাতে পয়সা নেই, তাঁর পড়েছেন সব চেয়ে বেশি সমস্যায়। যাঁদের হাতে পয়সা রয়েছে, তাঁদের সমস্যাও বড় কম নয়। বাধ্য হয়েই কোনওক্রমে দিন গুজরান করছেন শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ।
এহেন পরিস্থিতিতে দেশকে ঋণখেলাপি ঘোষণা করে দিল রাজাপক্ষের সরকার। শ্রীলঙ্কা সরকারের মাথায় রয়েছে ৫১ বিলিয়ন ডলারের (ভারতীয় মুদ্রায় ৪ লক্ষ কোটি) বৈদেশিক ঋণ। ঋণ শোধের ব্যাপারে সে দেশের সরকার দুটো প্রস্তাব দিয়েছে ঋণদাতা দেশগুলিকে। এক, তারা চাইলে দেয় ঋণের ওপর সুদ চাপাতে পারে। দুই, চাইলে ধার শোধ করা হতে পারে শ্রীলঙ্কার মুদ্রায়। এমতাবস্থায় আইএমএফের দিকে তাকিয়ে রয়েছে শ্রীলঙ্কার সরকার।
শ্রীলঙ্কার অর্থমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, দেশে আর্থিক অনটন চরমে উঠেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে নেওয়া হয়েছে একের পর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঋণ শোধের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে বিদেশি ঋণদাতা দেশগুলিকে। আইএমএফের তরফে আর্থিক সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। তাই আপাতত সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজাপক্ষের সরকার। এমতাবস্থায় আরও কতদিন তাঁদের নেই-রাজ্যের বাসিন্দা হয়েই থাকতে হবে, তা বুঝতে পারছেন না দ্বীপরাষ্ট্রের ২২ কোটি মানুষ।
+ There are no comments
Add yours