মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত দিন এগোচ্ছে শ্রদ্ধা খুনের ঘটনায় (Shraddha Walkar Murder) আরও হাড় হিম করা তথ্য সামনে উঠে আসছে। আগেই জানা গিয়েছে যে, আফতাব ১৮ মে তে তার লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর দেহ ৩৫টি টুকরো করে জঙ্গলে ফেলে আসে। আর এর মধ্যেই জানা গিয়েছে, যে, গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব। শ্রদ্ধাকে (Shraddha) খুন করার দিনেও গাঁজার নেশায় ছিল সে। ১৮ মে এই খুন গাঁজার প্রভাবে করেছে বলেও দাবি করেছে আফতাব।
গাঁজায় আসক্ত ছিল আফতাব
পুলিশ সূত্রে খবর, আফতাব জানিয়েছে, শ্রদ্ধা তাকে গাঁজা খাওয়ার জন্য প্রায়ই বকাঝকা করত (Shraddha Walkar Murder)। তাকে অনেকবার বারন করত গাঁজা না খেতে। এমনকি খুনের ঘটনার দিনেও নিষেধ করেছিল। ওই দিন দুজনের মধ্যে খরচ নিয়ে ঝামেলা বাঁধে। মুম্বই থেকে দিল্লিতে কে জিনিসপত্র আনবে তা নিয়ে দুজনের মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। দুজনের মধ্যে বচসার পরে আফতাব বাইরে গিয়ে গাঁজা সেবন করে এবং ফিরে আসে। আফতাব জানিয়েছে, সে শ্রদ্ধাকে খুন করতে চায়নি। কিন্তু গাঁজার প্রভাবেই সে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে শ্রদ্ধাকে। দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, রাত ৯টা ১০টার মধ্যে আফতাব শ্রদ্ধাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তারপর সে সারারাত শ্রদ্ধার নিথর শরীরের পাশে বসে বসে একের পর এক গাঁজা ভর্তি সিগারেট খেয়ে গিয়েছিল।
২০২০ সাল থেকেই হিংসার শিকার শ্রদ্ধা
ইতিমধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, বছর দুয়েক আগে একবার মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়ালকরকে (Shraddha Walker)। সে সময়ে তাঁর সারা মুখে ছিল কালশিটের দাগ। তদন্তে এমনটাই জেনেছে পুলিশ। অনুমান করা হয়েছে, হিংসার শিকার হয়েই এই অবস্থা হয়েছিল তাঁর। চিকিৎসকরাও জানিয়েছেন তেমনটাই। হাসপাতালের রিপোর্ট ঘেঁটে পুলিশ জানতে পেরেছে, পিঠে তীব্র ব্যথা, বমিভাব, ঘাড়ে প্রবল ব্যথা, পা অসাড় হয়ে যাওয়া– এই সমস্ত উপসর্গ ছিল শ্রদ্ধার। এরপর হাসপাতালে তিনদিন থাকার পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় (Shraddha Walkar Murder)।
পুলিশ শ্রদ্ধার বন্ধুবান্ধবদের জেরা করেও ইতিমধ্যেই জানতে পেরেছে, প্রায়ই মারধর করা হত শ্রদ্ধার উপর। খুন হয়ে যাওয়ার কয়েক মাস আগে ঘনিষ্ঠ এক বন্ধুকে মেসেজও করেছিলেন সাহায্য চেয়ে। বলেছিলেন, খুন হয়ে যেতে পারেন। কিন্তু শ্রদ্ধা আফতাবের সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙার চেষ্টা করলেও শেষপর্যন্ত তার সঙ্গে লিভ-ইনে থেকে যায়। আর সেই থেকে যাওয়াই কাল হল শ্রদ্ধার (Shraddha Walkar Murder)।
এই ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই নতুন তথ্য হাতে পাচ্ছে পুলিশ। উল্লেখ্য, গতকাল আফতাবের পুলিশ হেফাজতের সময়সীমা আরও পাঁচ দিন বাড়ানো হয়েছে ও পরবর্তীতে আরও তদন্ত করার জন্য তাঁকে হিমাচল প্রদেশ বা উত্তরাখন্ডে নিয়ে যাওয়া হতে পারে। এই খুনের ঘটনায় পরবর্তীতে আর কী কী তথ্য বেরিয়ে আসে, সেটিই এখন দেখার (Shraddha Walkar Murder)।
+ There are no comments
Add yours