মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে চারদিনের ভারত সফরে এলেন বাংলাদেশের (Bangladesh) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মূল বিষয় হবে, সংযোগ, জ্বালানি, খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ। হাসিনার এই সফরে তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Droupadi Murmu), উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) সঙ্গে দেখা করবেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে। এছাড়া হাসিনা দিল্লি থাকার সময় তাঁর সঙ্গে ফোনালাপ সারবেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।
আরও পড়ুন: আগামী সাত বছরেই বিশ্ব অর্থনীতিতে ৩ নম্বরে ভারত?
এছাড়াও দুই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিরক্ষা এবং স্থিতিশীলতার বিষয়টিও উঠে আসবে। সূত্র মতে, শেখ হাসিনা ভারতের কাছ থেকে নেপাল ও ভুটানে খাদ্যসামগ্রী, নানা পণ্য পাঠানোর অনুমতি চাইতে পারেন। এই সফরেই শেখ হাসিনার আজমের যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। ২০১৯ সালের পর এটাই হবে হাসিনার প্রথম ভারত সফর। ২০২১ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে।
ভারত এবং বাংলাদেশ বহুক্ষেত্রে একই রকম। ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস, জলবায়ু দুই দেশেই অনেকটা এক। বাংলাদেশের স্বাধীনতা লাভে বড় ভূমিকা ছিল ভারতের। কিন্তু এই দুই দেশের সম্পর্কের ওঠানামাও চোখে পড়েছে বহুবার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শেষ বাংলাদেশ সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের রসায়ন অনেকটাই উন্নত হয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সংকট, সন্ত্রাসবাদ এসব বিষয়ে আলোচনা করতেই মূলত হাসিনার এই সফর।
আরও পড়ুন: ভারত সফর শুরুর আগেই মোদির ভূয়সী প্রশংসা হাসিনার গলায়, কেন জানেন?
৫৪টি নদী একই সঙ্গে ভারত এবং বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলে। এই নদীগুলোর মধ্যে গঙ্গা, তিস্তা, মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা, দুধকুমার ও কুশিয়ারা উল্লেখযোগ্য। জলবন্টন নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ৩৫ বছর ধরে বিরোধ চলছে। আশা করা হচ্ছে, হাসিনার এই সফরে খানিকটা হলেও সেই সমস্যার সমাধান হবে। সম্প্রতি দুই দেশ জল ভাগাভাগি করতে সাতটি নদী চিহ্নিত করেছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours