মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাকাশ গবেষণায় বিশ্বের উন্নত দেশগুলির সাপেক্ষে পিছিয়ে নেই আমাদের দেশ। নিত্যনতুন গবেষণা চলছে মহাজাগতিক রহস্য উন্মোচনের জন্য। বিগ ব্যাং-এর ২০ কোটি বছর পরের সময়কালকে মহাজাগতিক ভোর বলা হয়। এবার এই সময়কালে তৈরি হওয়া আদি গ্যালাক্সি বা ছায়াপথগুলির বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করবে ভারতের শক্তিশালী রেডিও টেলিস্কোপ। যার পোশাকি নাম ‘সারস’ (SARAS Telescope)। বেঙ্গালুরুর রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা প্রাচীন এই ছায়াপথগুলির এনার্জি আউটপুট, ভর ইত্যাদি নির্ণয় করবেন এই শক্তিশালী টেলিস্কোপটির সাহায্যে।
আরও পড়ুন: আরেক সফল অভিযান ইসরোর, পিএসএলভি-তে চেপে ৯টি উপগ্রহ গেল মহাকাশে
টেলিস্কোপটি কোথায় রাখা ছিল এতদিন ? কোন কোন দেশ রয়েছে এই গবেষণায় ?
The Shaped Antenna measurement of the background Radio Spectrum 3 সংক্ষেপে ‘সারস’ (SARAS) টেলিস্কোপটি তৈরি করেছে রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট। যাবতীয় ডিজাইনও তারাই করেছে। ২০২০-এর প্রথম দিকে এই টেলিস্কোপটি (SARAS Telescope) ছিল উত্তর কর্নাটকের দন্ডিগনহাল্লি হ্রদ এবং সরাবতী নদীর উপর।
আরও পড়ুন: জোড়া ব্যর্থতার পর অবশেষে সফল হল নাসার ‘আর্টেমিস ১’-এর উৎক্ষেপণ
রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা ছাড়াও এই গবেষণায় রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অর্গানাইজেশন (CSIRO), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো নামী প্রতিষ্ঠান। প্রতিনিয়ত যারা গবেষণায় রত রয়েছে প্রথম প্রজন্মের বা আদি ছায়াপথগুলির ভর, এনার্জি আউটপুট প্রভৃতি বৈশিষ্টগুলি খুঁজে বের করার কাজে।
আরও পড়ুন: ইসরোর সহযোগীতায় ভারতে প্রথমবার বেসরকারি সংস্থার রকেট উৎক্ষেপণ
ছায়াপথের মধ্যে এবং চারিদিকে হাইড্রোজেন পরমাণুর বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করে বিজ্ঞানীরা যে তথ্য পেয়েছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে এই বিকিরণের তরঙ্গ ১৪২০ MHz. ব্রহ্মাণ্ড যত বিস্তৃতি লাভ করেছে ততটাই প্রসারিত হয়েছে এই বিকিরণ। পৃথিবীতে একেবারে নিম্ন তরঙ্গের Radio Band আসে, যেগুলির মাত্রা ৫০-২০০ MHz. এগুলি সাধারণত ব্যবহার করা হয় FM এবং TV transmission এর কাজে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours