মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা চলছেই। মঙ্গলবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ, গোঁসাইমারির পরে রাতে মাথাভাঙার কলেজে শুরু হয় দলেরই দুই গোষ্ঠীর মারামারি। একগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলে অপর গোষ্ঠী। গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফেটে যায় এক কর্মীর। পাশাপাশি, টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র করেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল কাড়াকাড়ি, মারামারিতে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, দলের ব্যালটই যখন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, তখন সেখান থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল কী করতে চলেছে!
কী ঘটল মাথাভাঙায়?
জানা গেছে, মাথাভাঙা ও পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। একে ওপরকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, এমনকী হাতাহাতিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়ার ফলে আর ভোট হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙায় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শুরু হয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। আর তাকে ঘিরেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দেখা যায় ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। সব কিছু মিলিয়ে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।
অভিষেকের হুঁশিয়ারিই সার!
তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দফায় দফায় মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটের মাধ্যমে দল প্রার্থী ঠিক করবে! আর সেখানেই যত বিপত্তি। সকালে সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারির ঘটনার পর এদিন রাতেও মাথাভাঙার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে অভিষেকের সতর্কবার্তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এবার অভিষেক তথা জেলার তৃণমূল নেতারা কী ব্যবস্থা নেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। একের পর এক বিশৃঙ্খলায় বিরোধী দলগুলি যে অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে, একথাও চুপিসারে স্বীকার করছেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours