মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কে হবেন পরবর্তী ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister)? এই নিয়েই বর্তমানে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে। লিজ ট্রাস সরে দাঁড়ানোর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার হিসেবে উঠে আসছে দু’ জনের নাম– বরিস জনসন ও ঋষি সুনক। রাজনৈতিক মহল বলছে, জনপ্রিয়তার নিরিখে সুনকের তুলনায় জনসনের পাল্লা ভারী। কিন্তু সমীক্ষা বলছে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক এগিয়ে রয়েছেন। তবে এ দুজনের বাইরে পেনি মর্ডেন্ট-এর নামও শোনা যাচ্ছে। ফলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে কে এগিয়ে রয়েছে, এই নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে।
কীভাবে নির্বাচন করা হবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী?
সূত্রের খবর অনুযায়ী, যে প্রার্থী দলের ১০০ জন সাংসদের সমর্থন পাবেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) পদের জন্য লড়াই করবেন। প্রার্থীদের ৩৫৭ জন কনজারভেটিভ (টোরি) এমপির মধ্যে কমপক্ষে ১০০ জন দলীয় (কনজারভেটিভ) এমপির সমর্থন প্রয়োজন। ২৪ অক্টোবর প্রথম ব্যালট অনুষ্ঠিত হবে। অর্থাৎ, সোমবার দুপুরের মধ্যেই প্রার্থীদের কমপক্ষে ১০০ জন সাংসদের সমর্থন দেখাতে হবে। এই দিনেই নির্বাচনের প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ করা হবে। যদি মাত্র একজন প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন জোগাড় করতে সক্ষম হন তাহলে তিনিই হবেন দলের নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সেক্ষেত্রে আর এমপি ও দলের সদস্যদের ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর দৌড় থেকে ঋষিকে সরে দাঁড়াতে ‘চাপ’ দিচ্ছেন বরিস?
কিন্তু যদি দুইয়ের অধিক প্রার্থী ১০০ জন এমপির সমর্থন পান, তাহলে কনজারভেটিভ এমপিরা ভোটাভুটির মাধ্যমে সবচেয়ে কম ভোট যিনি পাবেন তাঁকে এই দৌড় থেকে বাদ দেবেন। এভাবে প্রার্থীর সংখ্যা দু’জনে নেমে আসার পর এমপিরা আবার দুজনের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন। এরপর পার্টির সদস্যরা অনলাইনে ভোট দেবেন। সবার ভোট হিসেব করে যিনি জয়ী হবেন তিনিই হবেন পার্টির নেতা ও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister)। এই পুরো নির্বাচনের প্রক্রিয়া ২৮ অক্টোবরের মধ্যেই শেষ করা হবে জানা গিয়েছে। অর্থাৎ, আগামী শুক্রবারের মধ্যে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী (UK Prime Minister) ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রায় দেড় মাস আগে বরিস জনসন যখন প্রধানমন্ত্রীর (UK Prime Minister) পদ থেকে পদত্যাগের কথা ঘোষণা করেন, তখন ঋষি সুনক ১২০ জনেরও বেশি সাংসদের সমর্থন পেয়েছিলেন। তবে সদস্যদের ভোটে জিতে যান লিজ ট্রাস। আর এবারও জানা গিয়েছে, সুনকের পক্ষে ইতিমধ্যেই ১০০ জন এমপির সমর্থন রয়েছে। অন্যদিকে বরিস ৫৩ জনের সমর্থন পেয়েছেন কিন্তু তাঁর সমর্থকরা দাবি করছেন যে, বরিসও ১০০-র গণ্ডি পেরিয়েছেন। আবার পেনি মর্ডেন্ট পেয়েছেন ২৩ জনের সমর্থন। প্রসঙ্গত, ব্রিটেনের সবথেকে কম সময়ের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। গত ৬ সেপ্টেম্বর তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় পদত্যাগ করেন তিনি। ফলে এবার এখন এটাই দেখার প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে শেষ পর্যন্ত কে বাজিমাত করতে পারে।
+ There are no comments
Add yours