R G Kar Medical: নিহত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে ১১টির বেশি ক্ষতচিহ্ন, বারংবার ধর্ষণের প্রমাণ!

Rape: আরজিকরে ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডে ধৃতের সঙ্গে আরও অভিযুক্ত থাকার প্রমাণ…তারা কোথায়?
R_G._Kar_Medical
R_G._Kar_Medical

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (R G Kar Medical) মৃত তরুণী চিকিৎসকের শরীরে রয়েছে ১১টির বেশি আঘাতের চিহ্ন। সেই সঙ্গে হয়েছে একাধিকবার ধর্ষণও (Rape), মিলেছে এমনই প্রমাণ। ফলে কোনও একজনের পক্ষে কি এই কাজ করা সম্ভব? নাকি ঘটনায় আরও অনেকে যুক্ত? এরকমই প্রশ্ন তুলছেন মেডিক্যাল পড়ুয়া এবং চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। আন্দোলনরত পড়ুয়াদের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দ্রুত সামনে আনতে হবে। একই ভাবে তৃণমূল মূল অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে বলে দাবি করেছে বিজেপি।

একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল?

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মৃতার (R G Kar Medical) শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। চোখ এবং মুখ থেকে রক্তপাতের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। শরীরের বাঁ পা, পেট, হাত, ঘাড়-সহ একাধিক জায়গায় মিলেছে আঘাতের চিহ্ন। চলেছে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। একজন ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক বলেছেন, অপরাধ এবং আঘাতের চিহ্ন দেখে স্পষ্ট বলা যায়, এই ডাক্তারি পড়ুয়ার তরুণীর উপর অনেক সময় ধরে নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। তবে একজন এই হত্যাকাণ্ডে যুক্ত থাকলে হয়তো ওই পড়ুয়া স্বাভাবিক চিৎকার বা বাধা দেওয়ার কাজে সক্ষম হতে পারতেন। কিন্তু নির্যাতনের মাত্রা দেখে অনুমেয় যে একাধিক অপরাধী এখানে উপস্থিত ছিল। আরও এক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক জানিয়েছেন, মৃতার শরীরে পাওয়া ক্ষতগুলিকে ভালো করে পরীক্ষা করলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। গলা এবং বুক, দুই জায়গায় গায়ের জোরে চেপে ধরার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে অপরাধের ধরন দেখে মনে হচ্ছে একাধিক ব্যক্তি এখানে জড়িত। কারণ শ্বাসরোধ করে মারতে গেলে দুই হাত গলায় থাকবে। আবার এক ব্যক্তির পক্ষে শ্বাসরোধ করলে, বুকে চাপ দেওয়া সম্ভব নয়। ফলে সবটা একজনের পক্ষে করা কঠিন। তবে অনেকক্ষুণ ধরে অত্যাচার না করলে এমনটা সম্ভব নয়। এতগুলি আঘাতের চিহ্ন কীভাবে সম্ভব। তাই নিয়ে উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। অবশ্য পুলিশ গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিই একমাত্র অভিযুক্ত বলে জানিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মমতার সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময়সীমা, দেশব্যাপী আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি আইএমএ'র

দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল

শনিবার আরজিকরের (R G Kar Medical) সমানে দোষীদের শাস্তির দাবিতে বিরাট সংখ্যায় পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামে। উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। এই আন্দোলনে ডাক্তার এবং সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল। বিক্ষোভরত পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য সচিব ডিএমই-র সঙ্গে মিটিং হয়েছে। ফাস্ট ট্রায়াল কন্ডাক্ট হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। দোষীদের কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। রাতের বেলায় পুলিশ নিরাপত্তা দেবে বলে জানিয়েছে। আরও বেশি পরিমাণে সিসিটিভি লাগানো হবে। হস্টেলের সমস্যা দ্রুত মেটানো হবে। বাইরে থেকে আসা ব্যক্তিদের জন্য রেজিস্টার খাতা চালু করা হবে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles