মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর অনুদান (Durga Puja donation) ফেরত দিল কলকাতার একটি নামী ক্লাব। এর আগে, হুগলির চারটি ক্লাব দুর্গাপুজোয় সরকারি অনুদান প্রত্যাখ্যান করার কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে, এই প্রথম কলকাতার কোনও ক্লাব একই পথে হাঁটল। এই বছর দুর্গাপুজোয় আয়োজক ক্লাবগুলিকে রাজ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৮৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কোথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আরজি কর হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে (RG Kar Rape-Murder) এবার এই টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করল গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’ উদ্যোক্তারা।
মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর বক্তব্য (RG Kar Rape-Murder)
গার্ডেনরিচের ‘মুদিয়ালি আমরা ক’জন ক্লাব’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘‘আরজি কর হাসপাতলে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনার (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে এই অনুদান প্রত্যাখ্যান (Durga Puja donation) করা হচ্ছে। নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের জন্য এই সিদ্ধান্ত। পুজোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারের দেওয়া ৮৫ হাজার টাকা প্রতিবাদ স্বরূপ গ্রহণ করলাম না।’’ একই ভাবে এই ক্লাবের প্রেসিডেন্ট বলেন, “প্রতিবছর আমরা মা দুর্গার আগমনের জন্য অপেক্ষা করে থাকি। আমরা দেখছি বর্তমান তৃণমূল সরকার মাকে নিয়ে আসার জন্য ৮৫ হাজার টাকা দিচ্ছে, আর বিসর্জনের জন্য ১০ লক্ষ টাকার কথা বলা হচ্ছে। আমরা নির্যাতিতার বিচার চাই। একজন মহিলাকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।”
আমারা সরকারি অর্থে পুজো করব না
আরজি কর হত্যাকাণ্ডের (RG Kar Rape-Murder) প্রতিবাদে আগেই উত্তরপাড়ার তিনটি ক্লাব তৃণমূল সরকারের পুজোর অনুদান প্রত্যাখান করেছে। উত্তরপাড়ার মহিলাদের পুজো ‘বৌঠান সঙ্ঘ’, ‘উত্তরপাড়া শক্তি সঙ্ঘ’, ‘আপনাদের দুর্গাপুজো’— এই তিনটি ক্লাব অনুদান নিতে অস্বীকার করেছে। তিনটি ক্লাবের বক্তব্য, “আমরা সরকারি অর্থে পুজো করব না। আগে মহিলা চিকিৎসক খুনের ন্যায় বিচার চাই।” ক্লাবগুলির পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে চিঠি করা হয়েছে। এরপর কোন্নগরের ক্লাব ‘মাস্টারপাড়া সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি’ একই পথে হেঁটেছে। এলাকার মানুষের বক্তব্য, “প্রতিবাদের ফলে যদি পরের বছর রাজ্য অনুদান (Durga Puja donation) না দেয়, তাহলেও আমাদের পুজো আটকাবে না।”
আরও পড়ুনঃ নবান্ন অভিযান-বন্ধে পুলিশি অত্যাচার, পুলিশ কমিশনারকে নোটিশ মানবাধিকার কমিশনের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীর দায়!
উল্লেখ্য, রাজ্যে মমতার সরকার প্রতি বছর রাজ্যের পুজো উদ্যোক্তাদের অনুদান দিয়ে থাকে। আগে টাকার পরিমাণ ছিল ২৫ হাজার টাকা। ২০২২ সালে বেড়ে হয় ৬০ হাজার টাকা। ২০২৩ সালে অনুদানের পরিমাণ আরও বেড়ে হয় ৭০ হাজার টাকা। এই বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মলেন করে সেই অঙ্ক ৮৫ হাজার টাকা করেছেন। একই ভাবে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থার খরচ মকুব করেছেন। প্রসঙ্গত, ৯ অগাস্ট আরজি কর হাসপাতলে শিক্ষানবিশ-চিকিৎসককে ধর্ষণ (RG Kar Rape-Murder) করে খুনের ঘটনা ঘটেছিল। মুখ্যমন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রী মমতা হওয়ায় ঘটনার দায় তিনি এড়াতে পরেন না, এমনটাই দাবি তুলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদে নেমেছেন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours