RG Kar: আরজি করে ভুল প্রক্রিয়ায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে! দাবি সিবিআইয়ের, প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা?

CBI: আরজি কর কাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও পুলিশের অসহযোগিতার কথা লিখিতভাবে জানাবে সিবিআই...
rgkar
rgkar

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করের (RG Kar) নিহত তরুণী চিকিৎসক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধারের পরই পুলিশ ও ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগকেই কার্যত সিলমোহর দিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে একাধিক বেনিয়মের তথ্য উঠে এসেছে বলে খবর। সিবিআই (CBI) সূত্রে খবর, দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করার কথা যে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের, তাঁরা তা করেননি। বদলে দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন অন্য ফরেন্সিক টিম (যাঁরা ওই কাজের যোগ্য নন!) চিকিৎসক মহলের মতে, সাধারণত ফরেন্সিক মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরাই মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করেন। তাঁরা পেশায় চিকিৎসক হন। অন্যদিকে, ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেন ফরেন্সিক গবেষকরা। তাঁরা চিকিৎসক নন। কিন্তু, বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

কী বলছে সিবিআই?

প্রসঙ্গত দেহ থেকে যাঁরা (RG Kar) নমুনা সংগ্রহ করেন বিশেষ বিশেষ ঘটনার ক্ষেত্রে তাঁদের আলাদা আলাদা দক্ষতার প্রয়োজন থাকে। যেমন বিষক্রিয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুতে কিছু বিশেষ দিক থাকে, আবার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় নমুনা সংগ্রহের আলাদা দিক থাকে। সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের কথায়, “ঘটনাস্থলে আততায়ীর পায়ের ছাপ এবং হাতের ছাপের নমুনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেমিনার হলে উপস্থিত অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও আইনজীবীদের প্রত্যেকেরই ওই বিষয়ে জানার কথা। তা সত্ত্বেও এমন হল কীভাবে?” জানা গিয়েছে, আরজি করের নিহত চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন যে দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন তাঁদের সম্পর্কে ইতিমধ্যেই খোঁজখবর নিয়েছে সিবিআই। দু'জনকে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে এবং তাঁরা ঠিক কাদের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তাও জানার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)।

কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার কথা লিখিতভাবে জানাবে সিবিআই

এর পাশাপাশি, বেলগাছিয়াতে রাজ্য ফরেন্সিক ল্যাবরেটরির (RG Kar) কর্তাদেরও চিঠি পাঠিয়েছে সিবিআই। ওই পরীক্ষাগারের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। সিবিআই যোগাযোগ করলেও পরীক্ষাগারে কর্তারা কোনও রকমের রিপোর্ট এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে দেয়নি। এমনটাই খবর সিবিআই সূত্রে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আর অভিযোগ, এক্ষেত্রে টালবাহানা এখনও অব্যাহত। সিবিআইয়ের এক কর্তা বলেন, “মৃতদেহ থেকে নমুনা সংগ্রহে ধোঁয়াশা রয়েছে। আবার, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করে মামলা দুর্বল করে দেওয়ারও চেষ্টা করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।” সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, আগামী শুনানিতে কলকাতা হাইকোর্টে তথ্য প্রমাণ লোপাট ও কলকাতা পুলিশের অসহযোগিতার বিষয়ে লিখিতভাবে তাঁরা জানাবেন।

প্রথম থেকেই কি প্রমাণ লোপাটের (RG Kar) চেষ্টা শুরু হয়েছিল?

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা গিয়েছে ঘটনার দিন সেমিনার রুমে থিকথিক করছে ভিড়। সেই সময়ে আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিনের শিক্ষক চিকিৎসক দেবাশিস সোম সহ আরও অনেক জনই উপস্থিত ছিলেন। ইতিমধ্যেই দেবাশিসকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে সিবিআই। উত্তরে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে সেমিনার রুমে পোস্টিং করা হয়েছিল সকালে, কিন্তু কে সেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তা খোলসা করেননি দেবাশিস। ফরেন্সিক মেডিসিনের চিকিৎসক দেবাশিসের উপস্থিত থাকা নিয়েও দানা বেঁধেছে বিতর্ক। চিকিৎসকদের একটা অংশ বলছে, কোনও ঘটনার তথ্য-প্রমাণ লোপাট করতে হলে সেই বিষয়ে সব থেকে ভালো পরামর্শ দিতে পারেন ফরেন্সিক মেডিসিন বিশেষজ্ঞই। তাহলে কি প্রথম থেকেই প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা শুরু হয়েছিল? কাকে আড়াল করতে? এমন প্রশ্ন উঠছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে দাবি করেছে, সকাল ন'টার পরেই দেহ দেখা গিয়েছিল কিন্তু বাস্তবে যে তেমনটা নয় তার প্রমাণ ইতিমধ্যেই পেয়েছে সিবিআই। কারণ দেহ উদ্ধারের দিন সাত সকালেই সেমিনার রুমে ভিড়ের সমস্ত প্রমাণ দেখা গিয়েছে।

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles