RG Kar Incident: এফআইআর করতে দেরি কেন? প্রশ্ন রাজ্যকে, মামলার স্টেটাস রিপোর্ট তলব সুপ্রিম কোর্টের

Supreme Court: আরজি কর কাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে রাজ্য, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের...
66c3f924d5534-kolkata-rape-murder-case-supreme-court-to-take-up-rg-kar-medical-college-and-hospital-case-today-200211779-16x9
66c3f924d5534-kolkata-rape-murder-case-supreme-court-to-take-up-rg-kar-medical-college-and-hospital-case-today-200211779-16x9

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া-চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টে চাপের মুখে রাজ্য। শুরু থেকেই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের একের পর এক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। দেহ দেখার পর কার অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথম এফআইআর? দেহ হস্তান্তরের তিন ঘণ্টা পর কেন এফআইআর? রাজ্যকে প্রশ্ন করলেন প্রধান বিচারপতি। একই সঙ্গে মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন, কলকাতা হাইকোর্টে নয়, আরজি কর মামলার শুনানি হবে সুপ্রিম কোর্টেই। আরজি কর কাণ্ডে আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইকে মামলার তদন্ত সংক্রান্ত স্টেটাস রিপোর্ট জমা করতে হবে দেশের শীর্ষ আদালতে। ২২ অগাস্ট, এই মামলায় পরবর্তী শুনানি।

সুপ্রিম-প্রশ্নে জেরবার রাজ্য

এদিন আরজি কর এর ঘটনার ভয়াবহতা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। রাজ্যের তরফে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল, অভিষেক মনু সিংভি-সহ অন্য আইনজীবীরা। এদিন প্রথমেই বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা জানতে চান, এই ঘটনায় কার অভিযোগের ভিত্তিতে এবং কখন প্রথম এফআইআর দায়ের হয়েছিল? এর পরই প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন করেন, “সৎকারের জন্য মৃতদেহ কখন পরিবারকে দেওয়া হয়? এফআইআর দায়ের হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দেহ দিয়ে দিলেন?” পরিবারের তরফে এফআইআর দায়ের হয়েছে শুনে আরও ক্ষুব্ধ হন প্রধান বিচারপতি। তিনি জানতে চান, কেন পরিবারের তরফে প্রথম এফআইআর দায়ের হল? প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল কী করছিলেন? প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “বিকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয় খুন। এফআইআর দায়ের হয়েছিল বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটে। সে সময়ে নির্যাতিতার বাবা-মা ছিলেন না, তখন হাসপাতালেরই দায়িত্ব ছিল এফআইআর দায়ের করা।” শীর্ষ আদালতের এই প্রশ্নের কোনও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য।

স্বাধীনতার দিন রাতে ভাঙচুর!

স্বাধীনতা দিবসের দিন রাজ্য কী ভাবে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে দিল?” সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, “চিকিৎসা পেশায় হিংসা রুখতে হবে। অনেকে মনের মধ্যে গেঁথে রয়েছে, এই সমাজ পুরুষশাসিত। সেখানে মহিলারা আরও বেশি করে নিশানা হচ্ছেন। এটা দুঃখজনক।” সন্দীপ ঘোষ আরজি করের অধ্যক্ষ পদে ইস্তফা দেওয়ার পর কী ভাবে আবার অন্য কোথাও যোগ দিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ‘‘আমাদের আগে ৩টি বডি ছিল’’! দাবি নির্যাতিতার বাবার, সৎকারে কেন তৎপর পুলিশ?

সিবিআইকে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ

কলকাতার সরকারি হাসপাতালে মহিলা শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি ছিল দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। এদিন বৃহস্পতিবারের মধ্যে সিবিআইয়ের থেকে স্ট্যাটাস রিপোর্ট তলব করে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, একটি ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখবে সেই টাস্ক ফোর্স। মহিলারা যাতে আরও বেশি করে কাজে যোগদানে উৎসাহ পান, সে দিকে নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles