মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Incident) তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের দিন একাধিকজনকে বার বার ফোন করেছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তদন্তে এমনই দাবি করেছে সিবিআই। বার বার ফোনে বার্তালাপ করেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলও, দাবি সিবিআই-এর। সন্দীপ ঘোষের (Sandip Ghosh) কল লিস্ট হাতে পেয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সেই রিপোর্ট থেকেই এই বিষয়টি জানা গিয়েছে বলে খবর।
কল ডিটেইলস থেকে কী জানার চেষ্টা?
শুরু থেকেই এই ঘটনায় বারবার প্রশ্নের মুখে পড়েছে আরজি কর (RG Kar Incident) কর্তৃপক্ষ তথা তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা। প্রশ্ন উঠেছে কলকাতা পুলিশের তদন্ত নিয়েও। পরবর্তীতে গ্রেফতারও হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। প্রথমে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হলেও পরে সন্দীপ ঘোষকেও খুন-ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই সূত্রে খবর, ঘটনার দিন খুন ও ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে ৯ তারিখ সকাল থেকেই একাধিক ফোন করেছিলেন সন্দীপ ও অভিজিৎ। কাদের কাদের ফোন করা হয়েছিল, তার প্রেক্ষিতেই এবার এগোবে তদন্তের গতিপ্রকৃতি। এছাড়া ঘটনার দিন হাসপাতালে বেশ কিছু বহিরাগতের প্রবেশ ঘটেছিল বলেও জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে কাউকে সন্দীপ বা অভিজিৎ ফোন করেছিলেন কিনা, তা জানার চেষ্টা করছে সিবিআই।
আরও পড়ুন: শরীরে অন্তত ২৪টি আঘাত! গণপ্রহারের মতোই মারা হয়েছিল আরজি করের নির্যাতিতাকে
সন্দীপ-আশিস যোগ
তদন্তে বিভ্রান্তি তৈরি এবং দুর্নীতির অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাতে আশিস পাণ্ডেকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ধৃতকে আদালতে তোলা হলে ৩ দিনের সিবিআই হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচারক তা মঞ্জুর করেছেন। সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, আরজি করের থ্রেট কালচার ও দুর্নীতির মূলে যারা ছিল, আশিস তাদেরই অন্যতম। কাকে রাখা হবে, কাকে বদলি করা হবে, সেই দায়িত্বও নাকি সন্দীপের হয়ে দেখতেন প্রভাবশালী এই তৃণমূল নেতা। বৃহস্পতিবার আশিসকে গ্রেফতারের সময় তাঁর ফোনও বাজেয়াপ্ত করেন তদন্তকারীরা।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours