মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে (RG Kar) সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ছাড়াও সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরও তিনজন। ধৃতরা হলেন সুমন হাজরা, বিপ্লব সিং ও আফসার আলি। এর মধ্যে, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিং সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ ২ ব্যবসায়ী। তৃতীয়জন আফসার আলি সন্দীপের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন।
বাকি ধৃতদের পরিচয় (RG Kar)
হাওড়া সাঁকরাইল এর বাসিন্দা বিপ্লব সিং সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। বিপ্লবের সংস্থার নাম ছিল 'মা তারা ট্রেডার্স'। এই সংস্থা হাসপাতালে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ করত। গত সপ্তাহের রবিবার যেদিন সন্দীপের (Sandip Ghosh) বাড়িতে সিবিআই পৌঁছায় সেদিনই বিপ্লব সিংয়ের বাড়িতে হাজির হয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। জানা গিয়েছে, বিপ্লবের বাবা কলকাতার একটি মেডিক্যাল কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন, সেই সূত্রে আরজি কর (RG Kar) হাসপাতালে টিনের প্লেটের নম্বর লেখা কিংবা বেড নম্বর লেখার টেন্ডার পেতেন বিপ্লব। ওই কাজ করতে করতে চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের ব্যবসা শুরু করেন বিপ্লব। অন্যদিকে, দুর্নীতি মামলায় (CBI) হাজরা মেডিক্যাল নামের একটি ওষুধের দোকানে তল্লাশি চালায় সিবিআই। ওই দোকানের মালিক সুমন হাজরাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন আফসার আলি নামের নিরাপত্তারক্ষীও। এঁদের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর পাশাপাশি, এই ধৃত তিনজনকে বেআইনিভাবে হাসপাতালে ক্যাফেটেরিয়া, পার্কিং সহ নানা সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্দীপের (Sandip Ghosh) বিরুদ্ধে। আপাতত চার জনই রয়েছে নিজাম প্যালেসে।
১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি সন্দীপ
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অগাস্ট থেকে টানা ১৫ দিন সিবিআই জেরার মুখোমুখি হতে হয়েছিল সন্দীপ ঘোষকে। তার মাঝে এক রবিবারে সন্দীপের বাড়িতেও পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের দল (RG Kar)। গতকাল, সোমবার ফের তাঁকে তলব করা হয় সিজিও কম্পপ্লেক্সে। সেখান থেকে সিবিআই আধিকারিকরা সন্দীপকে নিয়ে যান নিজাম প্যালেসে। তার পরেই তাঁর গ্রেফতারের খবর সামনে আসে। এর পরেই জানা যায়, আর্থিক দুর্নীতি মামলায় শুধু সন্দীপ (Sandip Ghosh) নন, সেইসঙ্গে আরজি কররে প্রাক্তন অধ্যক্ষের ঘনিষ্ঠ আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours