RG Kar: ‘মাসোহারা’ না দেওয়া ও সন্দীপের কথা ‘অমান্য’ করায় হতে হয় বদলি! বিস্ফোরক গ্রুপ ডি কর্মী

Sandip Ghosh: আমাদের কথা শুনলে ভালো, না হলে বদলি করে দেওয়া হবে, কর্মীদের হুমকি দিতেন সন্দীপ
Untitled_design(877)
Untitled_design(877)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ বার সন্দীপের  (Sandip Ghosh) দুর্নীতি ও রাহাজানি নিয়ে মুখ খুললেন আরজি কর (RG Kar) মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মী। মনোজ মল্লিক নামের ওই গ্রুপ ডি কর্মীর অভিযোগ, তিনি একটা সময়ে ওই হাসপাতালের মর্গে কাজ করতেন। কিন্তু ১০ হাজার টাকা করে ‘মাসোহারা’ না দেওয়া এবং সন্দীপের কথা ‘অমান্য’ করায় তাঁকে বদলি করা হয় অন্যত্র। ওই কর্মীর আরও অভিযোগ, সন্দীপ জমানায় হাসপাতালের মর্গে নানাবিধ অনিয়ম থেকে তোলাবাজি সবটাই চলত। সেই সব অনিয়মের সবটাই জানতেন সন্দীপ এবং তাঁর শাগরেদরা।

আমাদের কথা শুনলে ভালো, না হলে বদলি করে দেওয়া হবে, কর্মীদের হুমকি দিতেন সন্দীপ

মনোজের আরও অভিযোগ করেন, ফরেন্সিক বিভাগে থাকাকালীন তাঁর উপর নানা রকম ভাবে চাপ তৈরি করতেন তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ। মনোজের কথায়, ‘‘এক দিন আমাকে ডেকে পাঠিয়ে মর্গেরই অন্য এক কর্মচারীর নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে বলেন সন্দীপ। আমি বলেছিলাম, বিনা কারণে কেন ওঁর নামে লিখিত অভিযোগ করতে যাব! সরাসরি না বলে দিয়েছিলাম। তখন উনি বলেছিলেন, আমাদের কথা শুনলে ভালো, না হলে বদলি করে দেওয়া হবে (RG Kar)। চাকরিও যেতে পারে। আমি কিছু জবাব না দিয়েই বেরিয়ে যাই। পরে ইউনিয়নের এক সদস্যকে দিয়ে আমাকে বলানো হয়, পার্টি ফান্ডের জন্য মাসে মাসে ১০ হাজার টাকা করে ডোনেশন দিতে হবে।’’

অ্যানাটমি বিভাগের ওয়ার্ড-মাস্টার (RG Kar) অফিসে বদলি করে দেওয়া হয় মনোজকে

মনোজের দাবি, তিনি এই কথায় পাত্তা দেননি। তবে  এর কিছু দিন পরেই তাঁর কাছে বদলির নির্দেশ আসে। ফরেন্সিক বিভাগ থেকে তাঁকে অ্যানাটমি বিভাগের ওয়ার্ড-মাস্টার (RG Kar) অফিসে বদলি করে দেওয়া হয়। মনোজের দাবি, বদলির নির্দেশ সম্পূর্ণ ভাবেই মৌখিক ছিল। তিনি এখনও কোনও লিখিত নির্দেশ পাননি। মনোজের কথায়, ‘‘মর্গে থাকাকালীন কোনও ভুল কাজ করিনি। কোনও দু’নম্বরি করিনি। সাধারণ মানুষ থেকে পুলিশ, সকলকেই সাধ্যমতো সাহায্য করার চেষ্টা করতাম। আমায় নিয়ে কারও কোনও অভিযোগ ছিল না। অথচ ওঁদের কথা শুনিনি বলে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল।’’ মনোজের অভিযোগ, ‘‘বেআইনি ভাবে টাকা লেনদেন (RG Kar) চলত মর্গে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের নামে টাকা তোলা হত। মৃতের বাড়ির লোককে ডেকে দেহ সেলাই করতে টাকা চাওয়া, টাকা নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে দেহ ছেড়ে দেওয়া, আরও নানা কিছুই চলত মর্গে। মদ খাওয়ার জন্যেও টাকা চাইতেন কেউ কেউ।’’


 


দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles