মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কম মার্জিনে যুক্তরাষ্ট্রের নিম্নকক্ষে প্রতিনিধি পরিষদের দখল নিল রিপাবলিকান পার্টি। জো বাইডেনের ডেমোক্র্যাটকে ৯ আসনে হারিয়ে দেয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল। রিপাবলিকানদের ঝুলিতে আসে ২০১৮টি আসন এবং ডেমোক্র্যাটরা পায় ২০৯টি আসন। কংগ্রেসের ৪৩৫ আসনের প্রতিনিধি পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২১৮টি আসন প্রয়োজন ছিল। আর কাঁটায়-কাঁটায় ঠিক সেই সংখ্যক আসনই পেয়েছে রিপাবলিকানরা। কার দখলে যাবে মার্কিন সেনেটের নিম্নকক্ষ, তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জল্পনা ছিল। শেষ মুহূর্তে ২৭ তম কংগ্রেস জেলাতে জয়লাভ করে শেষ হাসি হাসলেন রিপাবলিকানরাই। যদিও সেনেটের উচ্চকক্ষের নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে ডেমোক্র্যাটরাই।
আরও পড়ুন: নিজের পাতা ফাঁদেই ধরা পড়ল আফতাব! শ্রদ্ধা খুনে নয়া দিক
গত সপ্তাহেই আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তার দখল নিয়েছে মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের পার্টি। তবে বুধবার কংগ্রেসের নিম্নকক্ষের ২১৮তম আসনের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বাইডেন নয়, বরং প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প্র দল রিপাবলিকানরাই জয়ী হয়েছে। যদিও খুন কম ভোটের মার্জিনেই জয় পেয়েছে রিপাবলিকানরা। তবে এতে ডেমোক্র্যাটদের মুশকিল যে বাড়ল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান কেভিন ম্যাককার্থি বলেন, “আমেরিকানরা নতুন একদিকে হাঁটতে শুরু করেছে। রিপাবলিকানরাও প্রস্তুত।”
🚨 BREAKING 🚨 Republicans have officially flipped the People's House! Americans are ready for a new direction, and House Republicans are ready to deliver. pic.twitter.com/JIRrLEhKQe
— Kevin McCarthy (@GOPLeader) November 17, 2022
কী বললেন রাষ্ট্রপতি?
নিম্নকক্ষের ফল প্রকাশের পর রিপাবলিকানদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন। তিনি বলেন, “গত সপ্তাহের নির্বাচন আমেরিকার গণতন্ত্রের শক্তিকে প্রমাণিত করেছে। রাজনৈতিক হিংসা, ভোট দিতে অনিচ্ছা- এমন নানা প্রতিবন্ধকতা এসেছে। কিন্তু আমেরিকায় সাধারণ নাগরিকের সদিচ্ছারই জয় হল। ভবিষ্যত অত্য়ন্ত আশাব্যাঞ্জক, রাজনৈতিক লড়াইয়ের ফাঁদে আটকে পড়বেন না।”
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২০২৪- এর হোয়াইট হাউজ দখলের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে দিয়েছে দুই দলই। কে কোন ইস্যু তুলে কাকে আক্রমণ করবে সে ছকও কষে ফেলা হয়েছে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় তদন্ত চলছে। বাইডেন প্রশাসন এই তদন্তের গতি বাড়ানোর জন্য চাপ দিতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে, রিপাবলিকানরা বাইডেন প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিক, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের চিন ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সহ একাধিক বিষয় নিয়ে চাপ সৃষ্টি করতে পারে।
+ There are no comments
Add yours