মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কিছুতেই রাজ্যের রিপোর্ট খুশি নয় কলকাতা হাইকোর্ট। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যে আধিকারিকদের নাম জড়িয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গেলে রাজ্যের অনুমতি নিতে হবে। সেই অনুমতি না পাওয়ায় বিপাকে পড়েছে সিবিআই। হাইকোর্টে আবেদন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আদালত (Calcutta High Court) বারবার এ বিষয়ে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে সময় দিলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। মঙ্গলবার এক্ষেত্রে মুখ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। এই মামলায় অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানানোর জন্য তৃতীয় বার সময় দিল আদালত। আগামী ২৩ এপ্রিলের মধ্যে এ বিষয়ে মুখ্যসচিবকে নিজের অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
আদালতের পর্যবেক্ষণ
মঙ্গলবার আদালতে রাজ্য সরকারের আইনজীবী জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পরে এই মামলায় (Recruitment Scam) অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়ে অনুমোদন নিয়ে রাজ্যের অবস্থানের সিদ্ধান্ত জানানো হবে। এরপরই ক্ষুব্ধ বিচারপতি বাগচী বলেন, “আদালত মনে করছে, মুখ্যসচিব যে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন সেখানে কোনও বুদ্ধি প্রয়োগ করা হয়নি। তিনি তাঁর দায়িত্ব উপলব্ধি করতে পারেননি। আদালত (Calcutta High Court) আশ্চর্য হয়েছে যে রাজ্যে সবচেয়ে উচ্চপদে থাকা আধিকারিক কোনও অজ্ঞাত কারণে নিজের দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমরা আশা করব প্রভাবশালী অভিযুক্তদের পদ মুখ্যসচিবকে প্রভাবিত করবে না। একজন মুখ্যসচিব স্বাধীনভাবেই সিদ্ধান্ত নেবেন।”
আরও পড়ুন: শিয়ালদা শাখার সব লোকাল ট্রেন ১২ কামরার! কবে থেকে মিলবে পরিষেবা জানাল পূর্ব রেল
বিচারপতির প্রশ্ন
বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর পর্যবেক্ষণ, মুখ্যসচিব তাঁর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁর জন্য তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবে কিনা, সেই প্রশ্নও তুলেছে আদালত (Calcutta High Court)। বিচারপতির প্রশ্ন, “মুখ্যচিবকে ডেকে পাঠাব? নির্বাচনের সঙ্গে বিচার প্রক্রিয়ার কী সম্পর্ক? পুলিশ কি এফআইআর করা বন্ধ করেছে? তদন্ত কি বন্ধ আছে? আপনাদের বিলাসিতার জন্য কি তদন্ত থেমে থাকবে? ” বিচারপতি বলেন, ‘‘মুখ্যসচিবকে এই সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। হয়ত, সিদ্ধান্তের কারণে কোনও রাজনৈতিক দলের কাছে তিনি অপ্রিয় হয়ে যাবেন। কিন্তু তার থেকেও অনেক বড় দায়িত্ব তাঁর উপর ন্যস্ত আছে। মুখ্যসচিব রাজ্যের আইন দফতরের সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে কথা বলছেন না। এরকম কেন হবে? প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি বাগচী।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours