মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগেই নদিয়ার রানাঘাটে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছিলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের রেশন দুর্নীতির টাকা দিঘার হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছে। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ যে সঠিক, তা দিঘার হোটেলে ইডি-র (ED) নজরদারি শুরু করার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে। বেনামে সম্পত্তির যোগ খুঁজতে এবার কি পূর্ব মেদিনীপুরের সৈকতে শহরে আসবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? তা নিয়ে জেলা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেফতারির পর থেকেই নিউ দিঘার হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বালুর তিনটি হোটলের নামের তালিকা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'হোটেল মেঘবালিকা, বিচ ভিউ এবং বি ভিউ রিসর্ট। এই হোটেলগুলির মালিক অজয় দাস, দেবাশিস দাস ও সম্রাট। ৫০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে বালু তাঁর স্ত্রী এবং আপ্ত সহায়ক অভিজিৎ দাসের নামে করিয়ে নিয়েছে।'
দিঘায় চারটি হোটেলের হদিশ (ED)
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, দিঘায় চারটি হোটেলের সঙ্গে বনমন্ত্রীর যোগ খতিয়ে দেখছেন ইডি (ED) আধিকারিকরা। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনকে নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। এর মধ্যে একটি হোটেলে বাকিবুরের যাতায়াত ছিল বলেই জানা যাচ্ছে। রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা চারটি হোটেলে বিনিয়োগ হয়েছিল। হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন এলাকা এবং তার থেকে খানিকটা দূরে পর পর চারটি হোটেল রয়েছে। তার মধ্যে একই নামে দু'টি হোটেল আছে। চারটির মধ্যে একটি হোটেল কেনা হলেও বাকি তিনটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার' ক্যাটিগরির হোটেল। ২০১৬-১৭ সাল নাগাদ পর পর তিনটি হোটেল নির্মাণ হয়েছে। যদিও এই হোটেলগুলির পক্ষে মন্ত্রীযোগের বিষয়টি স্বীকার করা হয়নি। সবই অপপ্রচার বলেই দাবি তাদের।
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের কী বক্তব্য?
দিঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তার বক্তব্য, ওই চারটি হোটেলের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীকে না দেখলেও বাকিবুর যোগ রয়েছে। এই ডিরেক্টরদের অনেকেই উত্তর ২৪ পরগনা এলাকার বাসিন্দা। মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরদের নিয়ে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপ এইসব হোটেল দেখভাল করে। তবে, হোটেল তৈরিতে কারা টাকা বিনিয়োগ করেছে তা আমরা বলতে পারব না।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours