Ratanti Kali Puja: কেন হয় রটন্তী কালীপুজো? কী বা তার ইতিহাস?

Goddess Kali: হিন্দুধর্মে মা কালীর আরাধনা সর্বজনবিদিত, বিভিন্ন তিথিতে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়...
ratanti-kali-puja
ratanti-kali-puja

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুধর্মে মা কালীর আরাধনা সর্বজনবিদিত। বিভিন্ন তিথিতে দেবীর বিভিন্ন রূপের পুজো করা হয়। মাঘ মাসের কৃষ্ণ চতুর্দশীতে রটন্তী কালীপুজো হয়।

কথিত আছে, শ্রীরাধা বনে শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে লীলা করতেন বলে তাঁর শাশুড়ি জটিলা এবং ননদিনী কূটিলা শ্রীরাধার নামে কলঙ্ক রটিয়ে ছিলেন এবং তা প্রমাণ করার জন্য একদিন গোপনে তারা আয়ান ঘোষকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীরাধার পিছু নেন। আয়ান ঘোষের আরাধ্যা দেবী ছিলেন কালী। 

অন্তর্যামী শ্রীকৃষ্ণ জটিলা-কূটিলার গোপন অভিপ্রায় জানতে পেরে স্বয়ং কালীরূপ ধারণ করেছিলেন। শ্রীরাধাও কালীরূপী শ্রীকৃষ্ণকে কদম্ব বৃক্ষের মূলে ফল, ফুল দিয়ে পুজো করেছিলেন। এদৃশ্য দেখে জটিলা, কূটিলা ও আয়ান ঘোষের ভূল ভাঙে এবং শ্রীরাধা যে স্বয়ং আদ্যাশক্তি তা বুঝতে পেরেছিলেন। এই ঘটনাটি স্মরণ করেই ভক্তজন রটন্তী কালীপুজো করে থাকেন।

শাস্ত্রমতে আবার শোনা যায়, যখন শ্রীকৃষ্ণের প্রেমলীলায় রাধা মত্ত ছিলেন, সেই সময়ে একদিন দুপুরে গোপীনিরা তাঁর বাঁশির আওয়াজ শুনে চমকে উঠেছিলেন। গোপিনীরা বনের দিকে ছুটে গিয়ে দেখলেন সামনে ইষ্টমূর্তি। শ্রীরাধাই যে স্বয়ং আদ্যাশক্তি তা সেদিন বুঝতে পেরেছিলেন তাঁরা। সেই দিনকে স্মরণ করেই বিশেষ তিথিতে হয় রটন্তী কালীপুজো।

রটন্তী’ শব্দটি এসেছে ‘রটনা’ শব্দ থেকে। যার অর্থ প্রচার হওয়া। মনে করা হয়, এই বিশেষ দিনেই দেবীর মহিমা চতুর্দিকে রটে যায়। মুক্তকেশী মায়ের মহিমা এই তিথিতেই সর্বস্তরে রটিত হয়ে থাকে। আবার লোক কথা অনুসারে শোনা যায়, এদিনই দেবী ছিন্নমস্তার আবির্ভাব হয়েছিল। দেবী পার্বতী তাঁর সহচরীদের খিদে মেটানোর জন্যে নিজ মুণ্ডুচ্ছেদ করে ত্রিধারায় রক্তবারি প্রকট করেছিলেন।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles