মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত। জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ঘটনার (Ramakrishna Mission Incident) প্রায় দুসপ্তাহ পর মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায়কে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই প্রদীপের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। অবশেষে ঘটনার ১৩ দিনের মাথায় তাঁকে গ্রেফতার করল শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশ্যাল অপারেশন গ্রুপ (SOG)। আগেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত আট জনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। আর এবার গ্রেফতার হলেন মূল অভিযুক্ত প্রদীপও।
ঠিক কী ঘটেছিল? (Ramakrishna Mission Incident)
গত শনিবার সেবক রোডের দ্বিতল ভবন 'সেবক হাউসে' হামলা চালায় ১০-১২ জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, সালুগারার বাসিন্দা প্রদীপ রায়ের প্ররোচনায় আচমকা আশ্রমের ভিতরে ঢুকে সন্ন্যাসীদের উপর চড়াও হয় তাঁরা। তাঁদের শারীরিক নিগ্রহ করে বাড়ির বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয়, পাঁচ সন্ন্যাসী ও বাড়িটির নিরাপত্তারক্ষীদের তুলে নিয়ে গিয়ে এনজেপি স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।
ঘটনার পরেই এ নিয়ে ভক্তিনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে মিশন কর্তৃপক্ষ। তারপরই থানায় গিয়ে খোদ আক্রান্ত মহারাজের নামেই অভিযোগ জানান অভিযুক্ত প্রদীপ রায়। এরপর থেকেই ফেরার হন তিনি। তবে শেষমেশ পুলিশের জালে ধরা পড়লেন তিনি।
সূত্রের খবর, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের এসওজি জলপাইগুড়ি জেলার এক এলাকা থেকে প্রদীপকে গ্রেফতার করে ভক্তিনগর থানার হাতে তুলে দিয়েছেন। বর্তমানে তাঁর টানা জেরা চলছে বলেও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঘটনার (Ramakrishna Mission Incident) মূল অভিযুক্তকে জেরা করে এ বিষয়ে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পরপর দুটি গুলি, আর তার পরেই মাথা কেটে বিজেপি কর্মীকে নৃশংসভাবে খুন!
পুলিশের জালে মূল অভিযুক্ত
জানা গিয়েছে প্রদীপের খোঁজে বেশ কিছু দিন ধরেই তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। রামকৃষ্ণ মিশনের পক্ষ থেকে করা অভিযোগে প্রদীপ রায়ই ছিলেন ঘটনার অন্যতম পাণ্ডা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা (Ramakrishna Mission Incident) নিয়ে সাড়া পড়ে যায় গোটা রাজ্যে। ঘটনার পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে একের পর অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছিল পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত প্রদীপ অধরা ছিলেন। প্রদীপের সঙ্গে পুলিশের একাংশের আঁতাঁতের অভিযোগও উঠেছে একাধিক বার। এ বার সেই প্রদীপই পুলিশের জালে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours