মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার রাতে বর্ধমানে ট্রেন থেকে উদ্ধার বিপুল টাকার সোনা (Gold Smuggling)। আরপিএফ এবং ডিআরআই- এর যৌথ অভিযানে দুটি দূরপাল্লার ট্রেন থেকে মোট ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার সোনা উদ্ধার হল। সোনা পাচার করার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে।
কী ঘটেছিল?
কলকাতার ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ এর তরফ থেকে রেল পুলিশকে জানানো হয়, দুটি দূরপাল্লার ট্রেনে করে বিপুল পরিমাণ সোনা পাচারের চেষ্টা চলছে। এরপরেই শিয়ালদহ থেকে ছাড়া আপ শিয়ালদহ-অমৃতসর জালিয়ানওয়ালাবাগ এক্সপ্রেস বর্ধমান স্টেশনে এসে দাঁড়াতেই তাতে তল্লাশি চালাতে শুরু করেন আরপিএফ এবং ডিআরআই এর আধিকারিকরা। সেখান থেকে পিঠের ব্যাগে রাখা ১ কেজি ওজনের সোনার বাটসহ (Gold Smuggling) এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা ভক্তিপ্রাণার জীবনাবসান
পরে হাওড়া থেকে ছাড়া হাওড়া-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেসেও অভিযান চালানো হয়। সেই তল্লাশিতে ১ কেজি ওজনের ২টি সোনার বাট (Gold Smuggling) উদ্ধার হয়। এই ঘটনাতেও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আরপিফ- এর তরফে জানানো হয়েছে, কোমরে আটকানো কাপড়ের তৈরি বেল্টের ভিতর সোনার বাটগুলি লুকিয়ে রেখেছিল পাচারকারী। দুটি ট্রেন থেকে মোট তিন কেজি সোনা উদ্ধার হয়েছে, যার মূল্য প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা। সোনার বাটগুলি সবকটিই বিদেশে তৈরি বলে জানা গিয়েছে। আটক করা দুজনকেই কলকাতায় নিয়ে এসেছে ডিআরআই-এর একটি বিশেষ দল। কোথা থেকে সোনার বাটগুলি কোথায় পাচার করার চেষ্টা চলছিল তা এখনও জানা যায়নি।
উল্লেখ্য, গত মাসের শেষে সোনাপাচারের (Gold Smuggling) অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূল নেতার ছেলে। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের ছেলের সঙ্গে শ্যালককেও গ্রেফতার করা হয়েছিল। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যের ছেলে এবং শ্যালককে গ্রেফতার করে ডিআরআই। ৪ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত করা হয় সেবার। মামলায় তৃণমূল নেতার শ্যালককেও জেরা করা হয়। রাজধানী এক্সপ্রেসে সোনা পাচারের চেষ্টা বানচাল করে পুলিশ। তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ছেলে ও শ্যালকই সোনাপাচারের 'কিং পিন' বলে দাবি ডিআরআই- এর।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours