মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু (Hindu) মন্দিরের (temple) জায়গায়ই গড়ে তোলা হয়েছিল মসজিদ (mosque)!
কুতুবমিনার (Qutub minar) চত্বরে হিন্দু মন্দিরের প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি প্রাক্তন এএসআই (ASI) কর্তার। প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর ডঃ অমরেন্দ্র নাথ এএসআইয়ের রিপোর্টের তথ্যগুলি সত্য বলে দাবি করেন। তাঁর মতে, রিপোর্টে উল্লিখিত তথ্যগুলি সম্পূর্ণ সত্য।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির-জ্ঞানবাপী মসজিদ বিতর্ক এখনও চলছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের দাবি, বিশ্বেশ্বরের মন্দির (Kashi Viswanath temple) ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছিল জ্ঞানবাপী মসজিদ (Gyanvapi Mosque) মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে। তাঁরই নির্দেশে মন্দির ভেঙে মসজিদ তৈরি হয়েছিল। পরে রানি অহল্যবাই বর্তমান মন্দিরটি তৈরি করেন। ১৮০০ খিষ্টাব্দে নেপালের রানা মন্দির চত্বরে থাকা নন্দীমূর্তিটি মন্দির কর্তৃপক্ষকে উপহার দেন। মুসলমান সম্প্রদায়ের অনেকেই অবশ্য এই দাবি সমর্থন করেন না।
আরও পড়ুন : অধ্যয়ন করা হবে কুতুব মিনারে পাওয়া হিন্দু ও জৈন মূর্তিগুলির! বিবেচনা সংস্কৃতি মন্ত্রকের
দেশজুড়ে যখন কার্যত চায়ের ঠেকে চলছে জ্ঞানবাপী চর্চা, ঠিক তখনই বিতর্ক দানা বেঁধেছে কুতুব মিনারকে নিয়ে। ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, কুতুবউদ্দিন আইবক তৈরি করেছিলেন পেল্লাই মিনার। তাঁর নাম অনুসারে মিনারের নাম হয় কুতুব মিনার।
এএসআইয়ের প্রাক্তন আঞ্চলিক পরিচালক ধরমবীর শর্মার দাবি, কুতুবউদ্দিন আইবক নন, কুতুব মিনার তৈরি করেছিলেন হিন্দু রাজা বিক্রমাদিত্য। সূর্যের গতিবিধি পর্যবেক্ষণের জন্যই তৈরি হয়েছিল মিনার। সেজন্য মিনারটি হেলে রয়েছে ২৫ ইঞ্চি।
প্রাক্তন এএসআই ডিরেক্টর অমরেন্দ্র নাথ বলেন, ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান স্যার আলেকজান্ডার কানিংহামের তত্ত্বাবধানে ১৮৭১-৭২ সালে জেডি বেগলার এবং এসিএল কার্লেইল এই প্রতিবেদনটি তৈরি করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একটি মন্দিরের জায়গায় একটি মসজিদ তৈরি করা হয়েছিল। কারণ মসজিদের ভিত্তি অনেক পুরনো। তারও আগে এখানে একটি মন্দির ছিল।
আরও পড়ুন : খননকার্য এখনই নয়, কুতুব মিনার প্রসঙ্গে জানাল সংস্কৃত মন্ত্রক
খননকার্যের সময় পাওয়া কাঠামোর বিন্যাসের বিশদ বিবরণ দিয়ে নাথ বলেন, তিনটি প্রধান স্তর দৃশ্যমান, যার মধ্যে মসজিদটি সবচেয়ে ওপরের স্তরে রয়েছে। তিনি বলেন, এটি (মসজিদ) ধ্বংসস্তূপের ওপর নির্মিত হয়েছিল। নাথের দাবি, স্মৃতিস্তম্ভের প্রাচীন লোহার স্তম্ভটি 'গরুড় স্তম্ভ' নামে পরিচিত ছিল। স্তম্ভটি পঞ্চম শতাব্দীর বলে মনে হয়। এই স্তম্ভে অনেক শিলালিপি আছে। সেখানে নিশ্চয়ই গরুড়ের মূর্তিও ছিল। তিনি বলেন, কালো পাথরের তৈরি বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর মতো হিন্দু দেবতাদের মূর্তিও মেহরাউলিতে পাওয়া গেছে। সেগুলি রাখা হয়েছে জাতীয় যাদুঘরে।
+ There are no comments
Add yours