Qatar Fifa World Cup: ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হবার আগেই অভিবাসী শ্রমিকদের বের করে দিয়েছে কাতার

Qatar Fifa World Cup: বর্তমানে কাতারে মূল অভিবাসীদের সংখ্যা শতকরা ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশই বাইরে দেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে কাতারে গিয়ে বসবাস করছে।
WhatsApp_Image_2022-10-30_at_321.04_PM
WhatsApp_Image_2022-10-30_at_321.04_PM

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হতে এক মাসেরও বাকি নেই। তবে আয়োজক কাতারকে সামলাতে হচ্ছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। কাতারের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে মানবাধিকার রক্ষা সংক্রান্ত পরিসংখ্যান। সম্প্রতি কাতার ফিফা বিশ্বকাপের (Qatar Fifa World Cup) জন্য রাজধানী দোহার কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং থেকে অভিবাসী শ্রমিকদের বের করে দিচ্ছে।

স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০ নভেম্বর টুর্নামেন্ট (Qatar Fifa World Cup) শুরুর আগেই কাতারের নিরাপত্তা রক্ষীরা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত ১২ টি বিল্ডিংয়ে বসবাসকারী পরিযায়ী শ্রমিকদের তাদের বাসস্থান থেকে বের করে শহরের অন্য স্থানে তাদের স্থানান্তরিত করা হয়। 
যদিও সরকারের তরফে জানানো হয়েছে যে, এই বিল্ডিংগুলি বিপজ্জনক অবস্থায় থাকায় এই শ্রমিকদের ওই বিল্ডিং থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।আল মনসুরা এই এলাকাটিতে বিদেশী পর্যটকদের থাকার জন্য অনেক দিন ধরেই নতুন নতুন বিল্ডিং বানানো হচ্ছে। 

[tw]

[/tw] 

বাংলাদেশের একজন পরিযায়ী শ্রমিক যে ড্রাইভার হিসেবে কাতারে কাজ করে তাকে একপ্রকার জোর করে তার বাসস্থান থেকে বের করে দেয় কাতার নিরাপত্তা রক্ষীরা। পরে সে সারা রাত তার গাড়ির ভেতরে শুয়ে কাটায়। ইউনুস জানায় এই নিয়ে তাকে  তিনবার তার আস্তানা থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের নিরাপত্তাহীনতার প্রশ্নে এর আগেও প্রশ্নের মুখে পড়েছে খনিজ তেল সমৃদ্ধ এই ধনী দেশটি। পরিযায়ী শ্রমিকদের এমন পরিস্থিতির জন্য সরব হয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী কয়েকটি দেশ।কাতারে বিশ্বকাপের (Qatar Fifa World Cup) সময় হাজির থাকবেন না বলে জানিয়েছেন প্রিন্স উইলিয়াম।
অস্ট্রেলিয়াও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ান ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয় সেখানে একজন অস্ট্রেলীয় ফুটবলার বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনের ফলে অসংখ্য সাধারণ শ্রমিককে দুর্দশা ও ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। ফুটবল অস্ট্রেলিয়ার তরফে বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, কাতার বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, যদিও তার জন্য অনেক পরিযায়ী শ্রমিক ও তাঁদের পরিবারকে অনেক দুঃখ-কষ্ট-দুর্দশার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও কাতারে সমকামীতা নিষিদ্ধ তাই সমকামী দর্শকদের কাতারে নিশ্চয়তার দাবী জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান এক ফুটবলার।

[tw]

[/tw]

যদিও কাতার কর্তৃপক্ষ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জানান, প্রথম আরব দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করছে বলেই কাতারকে বেনজিরভাবে সমালোচনা করা হচ্ছে। সমকামীতার বিষয়ে কাতার কর্তৃপক্ষ জানান, বিশ্বকাপে এলজিবিটিকিউ-সহ সমস্ত ফ্যানেরাই স্বাগত। তবে তাঁদের কাতারের রক্ষণশীল সংস্কৃতি মেনে চলতে হবে। 
প্রসঙ্গত, ভারত,বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল,ফিলিপাইন, উগান্ডা সহ আফ্রিকার নানা দেশ থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রচুর মানুষ কাতারে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে আসেন। বর্তমানে কাতারে মূল অভিবাসীদের সংখ্যা শতকরা ২০ শতাংশ বাকি ৮০ শতাংশই বাইরে দেশ থেকে জীবিকার সন্ধানে কাতারে গিয়ে বসবাস করছে। এরাই মূলত কাতারের চালিকা শক্তি।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles