Dakshin Dinajpur: দলের দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে টালমাটাল তৃণমূল, ভোট নিয়ে আশাবাদী সুকান্ত

"আদিবাসীদের সঙ্গে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল", কেন বললেন সুকান্ত?
Dakshin_Dinajpur_(3)
Dakshin_Dinajpur_(3)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুই আদিবাসী মহিলার ক্ষোভে ক্রমশ তপ্ত হয়ে উঠছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) রাজনীতি। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের পর থেকে দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে এই দুই মহিলার ক্ষোভের ঘটনা বাড়তে থাকায় ঘরে বাইরে কিছুটা চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। এদিকে তৃণমূলের অন্দরে আদিবাসী মহিলাদের এই ক্ষোভকে হাতিয়ার করেই লোকসভা নির্বাচনের ছক কষতে শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তৃণমূলের প্রতি আদিবাসী মহিলাদের ধারাবাহিক ভাবে এমন ক্ষোভ বাড়তে থাকায় লোকসভা নির্বাচনের আগে ভোট ব্যাঙ্ক নিয়ে কিছুটা আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির। যদিও তাদের চাপে পড়ার কথা মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব।

দলের বিরুদ্ধে কেন ক্ষুব্ধ কল্পনা কিস্কু?

বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি কল্পনা কিস্কু, যিনি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তপন আসন থেকে অন্যতম আদিবাসী মুখ হিসাবে তৃণমূলের হয়ে ভোটে লড়াই করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত খুব সামান্য ভোটে বিজেপি প্রার্থী বুধরাই টুডুর কাছে পরাজিত হন। কল্পনার হয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচনী ময়দানে নামতে দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে। সে সময় থেকেই অর্পিতা ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত হন কল্পনা। কল্পনাকে এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না করায় বেজায় ক্ষুব্ধ হন তিনি। এই নিয়ে দলের বিরুদ্ধে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তিনি।

কী বললেন সেই দণ্ডিকাণ্ডের নির্যাতিতা?

অন্যদিকে তপনের গোফানগরের তিন আদিবাসী মহিলা, যাঁরা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণে দণ্ডি কাটার মাধ্যমে শাস্তি পেয়েছিলেন। মহিলা নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে যে ঘটনায় কার্যত দোষী প্রমাণিত করে দলের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছিল তৃণমূল। যা নিয়ে শুধু রাজ্য-রাজনীতি নয়, তোলপাড় হয়েছিল গোটা দেশ। শুধু তাই নয়, আদিবাসী সমাজকে বিশেষ বার্তা দিতে দণ্ডি-কাণ্ডের নির্যাতিতা শিউলি মার্ডিকে পঞ্চায়েতের (Dakshin Dinajpur) প্রার্থীও করেছিল তৃণমূল। অর্পিতার অতি ঘনিষ্ঠ ছিলেন নির্যাতিতা। নির্বাচনে জয়লাভের পর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন ঘিরেই শুরু ঝামেলা। নির্যাতিতা শিউলির দাবি, তাঁকে পঞ্চায়েতের প্রধান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তৃণমূল। তা না করায় শুধু তাঁর সাথেই নয়, আদিবাসী সমাজের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার।

কী প্রতিক্রিয়া সুকান্ত মজুমদার এবং অর্পিতা ঘোষের?

বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আদিবাসীদের সাথে বরাবরই বঞ্চনা করে এসেছে তৃণমূল। প্রতিশ্রুতি দিয়েও প্রতিশ্রুতি রাখেনি তারা। যে সবের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এবারের লোকসভার ফলাফলেই ঘটবে।' অর্পিতা ঘোষ বলেন, 'এধরনের কোনও ব্যাপার নেই। দল তাঁদের নিয়েও ভাবছে। এক ব্যক্তি চিরকাল এক চেয়ারে থাকতে পারেনা। তৃণমূলই এ জেলার দুটো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় আদিবাসী মহিলাকে বসিয়েছে।’

 

দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles