মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ছিল সন্দেশখালিতে। পরে, পুলিশের পক্ষ থেকে জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। রাতে এলাকায় পুলিশ অত্যাচার করে বলে অভিযোগ। শনিবার বিজেপি-র প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যায়। প্রতিনিধি দলে রাজ্য বিজেপি (BJP) সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, মহিলা নেত্রী অর্চনা মজুমদার সহ বসিরহাট বিজেপি সংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতৃত্বরা ছিলেন। ধামাখালি থেকে কিছুটা দূরে রামপুর নস্কর পাড়া এলাকায় আটকে দেওয়া হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের। দুপক্ষের মধ্যে বচসা হয়।
পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিজেপি নেত্রী? (BJP)
পুলিশের বক্তব্য, ১৪৪ ধারা জারি থানার কারণে এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না বিজেপি (BJP) কর্মীরা। অপরদিকে, বিজেপি নেতাদের দাবি, তাঁরা চারজন রয়েছেন। প্রয়োজনে পুলিশও তাঁদের সঙ্গে যেতে পারে। কোথাও আইন ভাঙা হবে না বলেও আশ্বাস দেন তাঁরা। বিজেপি নেত্রী অর্চনা মজুমদার বলেন, "পুলিশ শেখ শাহজাহানকে ধরতে পারছে না। অথচ যে দিন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এলেন, পুলিশ কেস দিয়ে দিল। আমরা নাকি পুলিশ পিটিয়েছি। আমরা শুধু কর্মীদের পাশে থাকতে চাইছি। আমরা বন্দুক-বোম নিয়ে আসিনি। মাত্র চারজন এসেছি। একাধিক বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। গ্রামবাসীরা যাঁদের নামে অভিযোগ করল পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করছে না। উল্টে সাধারণ গ্রামবাসী সহ বিজেপি কর্মীদের ওপর রাতের অন্ধকারে পুলিশ অত্যাচার করছে। আমরা শুধু অত্যাচারিত কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি। এখানে রাতে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে পুলিশ ঢুকছে। মারধর করছে। মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে। আমাদের কর্মীদের উপর কোনও ভাবেই অত্যাচার আর সহ্য করব না।"
বিজেপি প্রতিনিধি দলকে বাধা নিয়ে উত্তেজনা
শুক্রবার কার্যত অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল সন্দেশখালিতে। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বিরুদ্ধে রাগে ফুঁসছেন সন্দেশখালির এক অংশের মানুষ। পাল্টা শিবু হাজরার দলকেও এলাকার দখল নিতে দেখা গিয়েছে। এহেন উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। প্রচুর পুলিশ ফোর্স মোতায়েন রয়েছে সন্দেশখালিতে। এর মধ্যে এলাকায় প্রবেশে বাধা পেলেন বিজেপি-র (BJP) প্রতিনিধি দল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours