মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পোহা (Poha) হল একটি জনপ্রিয় খাবার। মহারাষ্ট্রে পোহা বলে পরিচিত এই খাবারটি বাংলায় চিঁড়ের পোলাও বলে জনপ্রিয়। খাদ্যরসিক বাঙ্গালী নিরামিষ পদ থেকে আমিষ পদ খেতে বেশী পছন্দ করলেও বর্তমানে শরীর স্বাস্থ্যের দিকটি মাথায় রেখে সকলেই খাবারদাবার নিয়ে সচেতন। কম তেল মশলাযুক্ত খাবার খেতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। আজকের এই রেসিপিটি ঠিক সেই ধরনের। খুব অল্প তেলেই তৈরি করে ফেলতে পারবেন পাশাপাশি খরচও খুব কম।সকালের জলখাবার হোক বা বিকেলের টিফিন, চিঁড়ের পোলাও যেকোনও সময়েই খাওয়া যেতে পারে।
উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানের কিছু অংশে পোহা বা চিঁড়ের এই পোলাওকে ভুজিয়া ও ডালিম সহযোগে পরিবেশন করা হয় আবার মহারাষ্ট্রে সবুজ চাটনি ও আলু সহযোগে পরিবেশন করা হয়ে থাকে।
পশ্চিমবঙ্গে আমরা এই চিঁড়ের পোলাওতে চিনি যুক্ত করা হয়। আবার অন্য রাজ্যে সবজির সাথে মিশিয়ে এই রেসিপি তৈরী করা হয়। উত্তর ভারতে সকালের জলখাবারে খুব উৎসাহের সাথে শিশু ও বৃদ্ধরা এই খাবার খেয়ে থাকেন।
পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, এক প্লেট পোহা (Poha) খেলে প্রায় এগারো ধরনের ভিটামিন এবং মিনারেলের চাহিদা মেটে। বিশেষ করে আয়রন, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি এবং ডি-এর ঘাটতি মিটতে সময় লাগে না। সঙ্গে কার্বোহাইড্রেট, উপকারী ফ্যাট এবং প্রোটিনের চাহিদাও পূরণ হয়।
পোহা (Poha) খাওয়ার উপকারিতা-
সহজে হজম হয়
পোহা (Poha) সহজে হজম যোগ্য। এর মধ্যে থাকা ফাইবার শরীরকে সুস্থ করে রোগীর দূর্বল শরীরকে সতেজ করে তোলে। অনেক পুষ্টিবিদ সকালের জলখাবার, বিকেলে বা সন্ধ্যার জলখাবারে পোহা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট
পোহাতে (Poha) থাকা ৭৬.৯ শতাংশ কার্বোহাইড্রেট ও ২৩ শতাংশ চর্বি শরীরে প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে। পোহাতে কার্বোহাইড্রেট ঘন ঘন খিদে পায় না ফলে ওজন বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে থাকে।
আয়রন সমৃদ্ধ খাবার
আপনি যদি রক্তশূন্যতায় ভোগেন সেক্ষেত্রে আপনি পোহা খেতে পারেন। পোহাতে রয়েছে প্রচুর আয়রন যা আপনার আয়রনের কখনোই ঘাটতি হতে দেয় না।পোহাতে লেবু চিপে খেলে শরীর ভালোভাবে আয়রন শোষণ করতে পারবে।
রক্তে সুগারের নিয়ন্ত্রণ
ফাইবার সমৃদ্ধ পোহা ডায়াবেটিস রোগীর সেরা বন্ধু। এটি রক্ত প্রবাহে পোহা শরীরে রক্ত এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours