PM Modi: যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি বললেন, ‘দাসত্বের প্রতীক চিরতরে মুছল…’

তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে...
PM_modi
PM_modi

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্তব্যপথের (Kartavya Path) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। বৃহস্পতিবার সন্ধেয় ওই পথের উদ্বোধন করেন তিনি। বলেন, এক সময় যেটি পরিচিত ছিল কিংসওয়ে (King’s Way) নামে, পরে হল রাজপথ, যেটা এতদিন দসত্বের (Slavery) প্রতীক হিসেবে ছিল, এবার তার ঠাঁই হল ইতিহাসে। এদিন ইন্ডিয়া গেটের (India Gate) সামনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর একটি ২৮ ফুট উঁচু মূর্তির আবরণও উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী।

এদিন রাষ্ট্রপতিভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত বিস্তৃত এই কর্তব্যপথের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। খরচ হয়েছে ৪৭৭ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্তব্যপথের মধ্যে দিয়ে জন্ম নিল এক নয়া ইতিহাস। আর এই যে দেখছেন নেতাজির মূর্তি, তিনি আমাদের পথ দেখাবেন, প্রেরণা জোগাবেন দেশকে।

মোদি বলেন, একদা রাজপথ থেকে কর্তব্যপথে উত্তরণ একটি প্রতীকী বিষয়। জনগণের সম্পত্তি ও ক্ষমতায়নের এটি একটি উদাহরণ। এই সময় চলছে আজাদি কা অমৃত মহোৎসব। তাই জাতি এদিন থেকে একটি নতুন প্রেরণা পাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ আমরা নতুন রঙে ভবিষ্যতের ছবি রাঙিয়ে তুলছি। অতীতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে চলেছি। আজ সর্বত্রই এক নয়া আলোকছটা দেখা যাচ্ছে। এই আলোকছটা নিউ ইন্ডিয়ার আত্মবিশ্বাসের। তিনি বলেন, কিংসওয়ে অথবা রাজপথ দাসত্বের প্রতীক। আজ থেকে চিরতরে মুছে গেল। এদিন কর্তব্যপথ থেকে সূচনা হল এক নয়া ইতিহাসের। স্বাধীনতার এই অমৃত কালে আরও একটি দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পাওয়ায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানাই। জাতীয় যুদ্ধ স্মৃতিসৌধ দেশের মহিমার প্রতিনিধিত্ব করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। কর্তব্যপথ তৈরি করেছেন যেসব শ্রমিক এদিন তাঁদেরও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তাঁরা কেবল এটা তৈরি করেননি, তাঁরা কর্তব্যের নয়া পথ বাতলেছেন। আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডে তাঁরা যে তাঁর অতিথি হতে চলেছেন, এদিন সে খবরও জানান প্রধানমন্ত্রী। দেশবাসীকে কর্তব্যপথ দেখার আহ্বানও জানান মোদি। বলেন, এই রাস্তার উন্নয়নে আপনি ভবিষ্যতের ভারতকে দেখতে পাবেন। এখানে এলে যে শক্তি পাবেন, তা আপনার জীবনে জন্ম দেবে এক নতুন বিশ্বাসের।

আরও পড়ুন : ‘নেতাজির আদর্শ অনুসরণ করলে আজ ভারত কোথায় পৌঁছে যেত...’, বললেন মোদি

প্রসঙ্গত, এই কর্তব্যপথ মোদি সরকারে সেন্ট্রাল ভিস্তা রিডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্টের অংশ। এই প্রোজেক্টে হবে ত্রিকোণাকার পার্লামেন্ট বিল্ডিং, সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট, প্রধানমন্ত্রীর নয়া বাসভবন ও অফিস এবং উপরাষ্ট্রপতির নয়া এনক্লেভ।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles