মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোস্ট-ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার মোহাম্মদ গাউস নিয়াজি গ্রেফতার। আরএসএস কর্মীকে হত্যার অভিযোগে, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। তিনি পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার বা পিএফআই-এর (PFI) কুখ্যাত নেতা হিসেবে পরিচিত। নিয়াজির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এবং নাশকতামূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে আরএসএস নেতা রুদ্রেশকে হত্যার জন্য প্রধান অভিযুক্ত। কিন্তু সে ধরার আগেই সরকারকে এড়িয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল। এরপর বিভিন্ন দেশে জায়গা বদল করে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাসস্থান স্থাপন করে আত্মগোপন করে ছিল বলে জানা গিয়েছে। অবশেষে গ্রেফতার হল আজ।
গুজরাট এটিএস তথ্য দিয়েছিল (PFI)
গুজরাট অ্যান্টি-টেরোরিজম স্কোয়াড (এটিএস) এই পিএফআই (PFI) নেতা নিয়াজির গতিবিধিকে ট্র্যাক করার জন্য বিশেষ নেতৃত্ব দিয়েছিল। অবশেষে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করলে তাকে পাকড়াও করতে সুবিধা হয়। সেই সময়ে আরএসএস নেতা রুদ্রেশের হত্যাকাণ্ড নিয়ে সারা দেশে শোকের আবহ তৈরি হয়েছিল। একই সঙ্গে নিয়াজিকে গ্রেফতারের জন্য তীব্র ক্ষোভের প্রকাশ দেখা গিয়েছিল। কুখ্যাত এই নেতা নিয়াজিকে দক্ষিণ আফ্রিকায় গ্রেফতার করার পর তাকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে বিশেষ প্রক্রিয়ার কাজ দ্রুত শুরু হয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তাকে প্রথমে মুম্বাইতে নিয়ে আসা হবে। এরপর তাকে আদালতে তোলা হবে।
কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল
আরএসএস নেতা রুদ্রেশ একজন দুধ ব্যবসায়ী ছিলেন। তাঁকে দিনের আলোতে খুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে শিবাজি নগরের আরএসএস শাখার সঙ্ঘ চালক ছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে শিবাজি নগর শাখার বিজেপির সম্পাদক ছিলেন। দলের কাজ সেরে নিজের বাইকে করে ফিরছিলেন বাড়িতে। এরপর শহরের প্রাণ কেন্দ্র এমজি রোডে রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের সামনে কালো পালসারে করে আসা দুই পিএফআই (PFI) দুষ্কৃতী তাঁর উপর আক্রমণ করে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে পরপর কোপ মেরে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছিল। এরপর খুনের প্রতিবাদে কমার্শিয়াল রোডের থানার সামনে আরএসএস সমর্থকরা ব্যাপক প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours