মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কৃষিপ্রধান রাজ্য নামেই পশ্চিমবঙ্গ। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট বলছে, কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিতেও (Peasant Economy) অনেক পিছিয়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজ্যের কৃষি নীতির জন্যই এমন অবস্থা হয়েছে। পরিকাঠামোগত সমস্যা তো রয়েছেই পাশাপাশি সরকারি সদিচ্ছারও অভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ বিখ্যাত ছিল ধান উৎপাদনের জন্য। পরিসংখ্যান বলছে, সেখানেও পিছনের সারিতে চলে গেছে বাংলা। হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদনে সারাদেশের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে পঞ্জাব। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ নেমে গিয়েছে পঞ্চমস্থানে।
আরও পড়ুন: পদস্খলন! ছয়ের দশকে মাথাপিছু আয়ে শীর্ষে ছিল বাংলা, এখন কোথায় জানেন?
রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির (Peasant Economy) অবদান বেশি- কতটা সত্য?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের জিডিপিতে কৃষির অবদান বেশি একথা সর্বাংশে সত্য নয়। এটা সত্য ছিল ষাটের দশকে। পরবর্তীকালে বামফ্রন্ট জমানায় ভূমি সংস্কার আন্দোলন হলেও কৃষির ওপর নজর দেয়নি তারাও। বর্তমান রাজ্য সরকারের আমলে কৃষকরা ফসলের দাম পেয়ে আত্মহত্যাও করছেন, এমন নজিরও দেখা গিয়েছে। শিল্পতো বিশ বাঁও জলে! তার সঙ্গে রাজ্যের কৃষির অবস্থাও খুব খারাপ। অন্তত, কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান তাই বলছে।
ধান উৎপাদনে বিশ্বের গড়মানের অনেক নীচে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ
ধান উৎপাদনে গ্লোবাল অ্যাভারেজ হল হেক্টর প্রতি ৪,২৫০ কেজি। রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ অনেক পিছনে রয়েছে। বাংলায় হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন ২,৯৬২। তালিকায় শীর্ষে থাকা পঞ্জাব হেক্টর প্রতি ধান উৎপাদন (Peasant Economy) করে ৪,৩৬৬ কেজি। এতেই উঠছে প্রশ্ন। ধান চাষের (Peasant Economy) সমস্ত অনুকূল পরিবেশ থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র কৃষিক্ষেত্রে ভুল সরকারি নীতির কারণেই রাজ্যের আজ এই অবস্থা। একটা সময় ছিল যখন বর্ধমান জেলাকে ধানের গোলা বলা হতো। রাজ্য সরকার যাই বলুক, কৃষি নিয়ে যতই গর্ব করুক। বাস্তব রিপোর্ট কিন্তু অন্য ধরা পড়ছে।
আরও পড়ুন: ৮০ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে খাদ্য, ১১ কোটি বাড়িতে জলের লাইন! অভাবনীয় সাফল্য মোদি সরকারের
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours