মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডির জেরায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বয়ান দিলেন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। পার্থর বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সব টাকার হিসেব বুঝে নিতেন আধিকারিকরা। বৃহস্পতিবার কুন্তল ঘনিষ্ঠ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ৮ ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি।
কী জানা গেল?
ইডিসূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha) জানিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী নিয়োগের জন্য টাকা নিতেন। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা আরও একবার প্রমাণিত হল। অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল যুব কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ৩০ কোটি টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এদিকে কুন্তল ঘোষ দাবি করেছেন, তাঁর কাছ থেকে ৩০ কোটি টাকা আধিকারীকরা হিসেব করে নিয়ে যেতেন। ইডি জেরার মুখে তৃণমূলের এই যুবনেতা দাবি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তার আর্থিক লেনদেন ছিল। শুধু তাই নয়, পার্থর সেক্রেটারির হাত দিয়ে তিনি ১৫ পাঠিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিধাননগর হাসপাতালে কুন্তল ঘোষকে (Kuntal on Partha) নিয়ে গিয়েছিল পুলিশ। সেই সময় সাংবাদিকদের কুন্তল বলেন, বড় মাথা ধরা পড়বে। তিনি আরও দাবি করেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আকাশ ছোঁয়া ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কিন্তু কে সেই ষড়যন্ত্র করেছেন তা নিয়ে কোনও মন্তব্য তিনি করেননি। গতকাল কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাড়ে ৮ ঘণ্টা জেরা করেছেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের বাড়িতে তল্লাশি দিনেই শান্তুন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি।
ইডির জেরায় একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করে গিয়েছেন একদা মানিক-ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল। তিনিই প্রথম কুন্তল ঘোষের (Kuntal on Partha) নাম উল্লেখ করেন। তাপসের দাবি, চাকরি দেওয়ার নাম করে ৩০ কোটি টাকা নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব নেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর আরও দাবি, নীলাদ্রি নামে এক জনের কাছে সেই টাকা রাখতে দেওয়া হয়েছিল। কুন্তল ঘোষের ঘর থেকে উদ্ধার কালো ডায়রিতেও টাকার হিসেব লেখা রয়েছে। সাঙ্কেতিয় ভাষায় লেখা রয়েছে কার কাছে কত টাকা তিনি নিয়েছেন। সেই সাঙ্কেতিক নাম গুলি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: 'বাংলাকে পথ দেখাচ্ছে শুভেন্দু', ছেলেকে সার্টিফিকেট বাবা শিশিরের
এরপরেই গ্রেফতার হন কুন্তল ঘোষ (Kuntal on Partha)। কুন্তলের পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আর এক যুব নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকেও। তাপস মণ্ডলই প্রথম কুন্তলের নাম সামনে এনেছিলেন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, তিনি শুনেছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। সেটা সম্ভব নয় বলে সাফ বার্তা দিয়েছেন সুকান্ত।
+ There are no comments
Add yours