New Pak PM Shehbaz Sharif: গদি রাখতে গেলে শেহবাজকে জিইয়ে রাখতেই হবে কাশ্মীর ইস্যু

কাশ্মীর ইস্যুই তুরুপের তাস পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রীরও। তাই প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই খুঁচিয়ে তুলেছেন ভূস্বর্গ ইস্যু
shehbaz_of_pakistan
shehbaz_of_pakistan

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েই শান্তির বুলি আওড়েছেন পাকিস্তানের (pakistan) নয়া প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ (prime minister shehbaz sharif)। তবে আদতে তা কতটা কার্যকরী হবে, তা নিয়ে সন্দিহান কূটনৈতিক মহল। কারণ প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। পাল্টা টুইটে তিনিও মোদির সাফল্য কামনা করেছেন। এর পরেই শান্তির বার্তা দিয়েছেন শেহবাজ। যদিও উসকে দিয়েছেন কাশ্মীর ইস্যু। 

পাক পার্লামেন্টে (Pakistan National Assembly) বিরোধীদের আনা অনাস্থায় (no confidence or trust vote) গোহারা হেরে যান পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Former Pak PM Imran khan)। তার পরেই প্রধানমন্ত্রী পদে বসেন শেহবাজ। তিনি পাকিস্তানের ২৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরে পরেই তাঁকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানান মোদি। তিনি লেখেন, ভারত চায় সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে শান্তি এবং স্থায়িত্ব, যাতে করে আমরা উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারি। দেশবাসীর উন্নতি এবং সমৃদ্ধিও নিশ্চিত করতে পারি।
মোদিকে পাল্টা টুইট করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রীও। তিনি লেখেন, জম্মু-কাশ্মীরের মতো বিতর্কিত ইস্যুগুলির শান্তিপূর্ণ সমাধানও অপরিহার্য। দেশবাসীর উন্নতি ও সমৃদ্ধিও যে নয়া পাক প্রধানমন্ত্রীর মূল ফোকাস, টুইটে তাও জানিয়ে দিয়েছেন শেহবাজ।

[tw]

[/tw]

বস্তুত, কাশ্মীর ইস্যুই যে শেহবাজের মূল হাতিয়ার হবে, প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরেই তিনি তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। এর কারণও রয়েছে। পাকিস্তানের সরকার ব-কলমে চালনা ও পরিচালনা করে সে দেশের সেনাবাহিনী এবং গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। শেহবাজ যে পাক প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন, তার পেছনেও সেনার একটা অদৃশ্য হাত রয়েছে। এই সেনাই জিইয়ে রাখতে চায় কাশ্মীর ইস্যু।

কাশ্মীর ইস্যু জিইয়ে রাখতে পারলে আদতে লাভ সরকারেরই। কারণ, তখন দারিদ্র, অশিক্ষা, অপুষ্টির মতো জ্বলন্ত ইস্যুগুলির দিক থেকে পাক নাগরিকদের অভিমুখ ঘুরিয়ে দেওয়া যাবে। তখন সরকার চলবে মসৃণ গতিতে। সেই কারণেই কাশ্মীর ইস্যুকেই হাতিয়ার করেন পাকিস্তানের সব প্রধানমন্ত্রীই। সেই কারণেই মুখে শান্তির বার্তা দিলেও, তলায় তলায় মদত দিতে থাকে লস্কর-ই-তৈবা (lashkar-e-taiba) সহ বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে। তার জন্য কনকনে ঠান্ডায়ও হিংসার তাপে পোড়ে ভূস্বর্গ। বাতাস ভারী হয় বারুদের গন্ধে। আচমকাই লাশ হয়ে যান জলজ্যান্ত কোনও কাশ্মীরি।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles