Pakistan Terrorism: ভারত, আমেরিকার প্রস্তাব খারিজ, পাক জঙ্গি শাহিদকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণার বিরোধিতায় চিন

Pakistan Terrorism: গত কয়েকমাসে এই নিয়ে চারবার ভারতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আসছে চিন...
United-Nations
United-Nations

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের আর ও একবার রাষ্ট্রসংঘে ভারতের বিরোধিতা করল চিন। লস্কর-ই-তইবা (Pakistan Terrorism) নেতা শাহিদ মাহমুদকে Shahid Mahmood আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণা করার জন্য রাষ্ট্রসংঘে ভারত ও আমেরিকা আনা যৌথ প্রস্তাবকে খারিজ করল চিন। লস্কর-ই-তইবার এই শীর্ঘ নেতাকে এই মুহুর্তেই আন্তর্জাতিক জঙ্গি হিসেবে ঘোষণার পক্ষপাতী নয় বেজিং। তবে, চিনের এই আচরণ নতুন নয়। গত কয়েকমাসে এই নিয়ে চারবার ভারতে সন্ত্রাসবাদ বিরোধী প্রস্তাবের বিরোধীতা করে আসছে চিন। মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসেই মাহমূদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করে।

রাষ্ট্রসংঘে আল কায়দাকে নিষিদ্ধ করার আইনের আওতাতেই শাহিদক মাহমুদকে (Pakistan Terrorism) আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করতে উদ্যোগী হয়েছিল ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু চীন সে প্রস্তাবে বাধা দেওয়ায় শাহিদ মাহমুদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনাই করতে পারেনি রাষ্ট্রসংঘের সদস্য দেশগুলি।

[tw]

[/tw]

মুম্বইয়ে ২৬/১১ হামলার মূল চক্রী সাজিস মীরের প্রধান সহযোগী ছিলেন এই শাহিদ। চিন পাকিস্তান মদতপুষ্ট (Pakistan Terrorism) এই জঙ্গি নেতাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিসেবে স্থগিত দেশ দেওয়ার সময়েই ভারতে সফরে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস (Antonio Guterres)। ২০০৮ সালে লস্কর ই তইবার এই আক্রমনে মুম্বই শহরে প্রায় ১৬০ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ হারায়। আহত হয়েছিল অসংখ্য মানুষ। ২৬/১১ নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই ভারতে এসেছেন রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের বেশ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর মোট ১৮ জনকে ইউএপিএ আইনের আওতায় কালোতালিকা ভুক্ত করেছে ভারতে।এর মধ্যে রয়েছে লস্কর-ই-তৈবা, হিজবুল মুজাহিদীন, জইশ-ই-মহম্মদ, ইন্ডিয়ান মুজাহিদীন এবং দাউদ ইব্রাহিমের দলভুক্ত কয়েক নেতা৷সেই তালিকায় শাহিদ মেহমুদ ওরফে শাহিদ মেহমুদ রেহমাতুল্লাহরও নাম রয়েছে৷

কান্দাহার বিমান অপহরণ কাণ্ডের মূল চক্রী আব্দুল রউফ আজহারকে কিছুদিন আগেই আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করতে চেয়ে যৌথ প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত ও আমেরিকা। সেখানেও একইভাবে বিরোধিতা করেছিল চিন। জুন মাসে লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক মক্কিকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিল ভারত। কিন্তু চিনের বিরোধিতায় ভারতের সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। বেজিং-এর এই ভূমিকায় বারবার সমালোচনা করেছে ভারত।

চলতি বছরের ব্রিকস সম্মেলনেও নাম না করে চিনের প্রেসিডেন্ট জিনপিংকে বিঁধেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সারা পৃথিবীর নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একযোগে লড়াই করতে হবে। দেশের সংকীর্ণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে হবে। তবে মোদির এই আহ্বানে চিন যে সাড়া দেয়নি, সেটা রাষ্ট্রসংঘে তাদের আচরণেই প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।লাগাতার এই ধরনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার, পাকিস্তানি জঙ্গিদের আড়াল করতে সবসময় সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে চিন।

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 
 
 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles