মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিলম্বিত বোধোদয় পাকিস্তানের (Pakistan)! একমাত্র আলোচনার মাধ্যমেই হতে পারে কাশ্মীর (Kashmir) সমস্যার সমাধান, যুদ্ধের মাধ্যমে নয়। ভারতের (India) সঙ্গে স্থায়ী শান্তির সম্পর্ক চায় ইসলামাবাদ (Islamabad)। একটি সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, অন্তত এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের নয়া প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif)। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে কথা বলার সময় শাহবাজ ওই মন্তব্য করেন।
কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাক লড়াই সর্বজনবিদিত। ভারতকে অপদস্থ করতে নানা সময়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে কাশ্মীরকে ইস্যু করতে পিছপা হয়নি পাকিস্তান। তবে প্রতিবারই মুখ পুড়েছে চিন-ঘনিষ্ঠ এই দেশের। জম্মু-কাশ্মীর যে ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ, তা বারংবার জানিয়ে দিয়েছে ভারত। ভূস্বর্গ নিয়ে ভারত-পাক বিবাদ দীর্ঘদিনের পুরনো হলেও, নতুন করে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে ওঠে ২০১৯ সালে। ওই বছর ৫ অগাস্ট উপত্যকা থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় ৩৭০ ধারা। নয়াদিল্লির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে ইসলামাবাদ। পাকিস্তানে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৎকালীন ইমরান খানের সরকার। পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। ইমরান খান সরকারের পতনের পর ক্ষমতায় আসেন শেহবাজ। আর তারপরই তিনি জোর দেন ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে। পাক অর্থনীতি সংকটের মধ্যে থাকায় জোর দিতে চান দু দেশের বাণিজ্যে, অর্থনীতির উন্নয়নে।
আরও পড়ুন : পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতেরই! জানুন কী বললেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী
কূটনৈতিক মহলের মতে, চিনা ঋণের ফাঁদে পড়ে ঘোর আর্থিক সংকটে শাহবাজের দেশ। মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম লাগাম ছাড়া। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো দেশজুড়ে তৈরি হয়েছে তীব্র জ্বালানি সংকট। পরিস্থিতি এতটাই করুণ, যে আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারও ঋণ দিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তানকে। এমতাবস্থায় ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে না পারলে, ঘোর বিপদ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সেই কারণেই একশো আশি ডিগ্রি ভোলবদল ইসলামাবাদের!
আরও পড়ুন : একদা কাশ্মীর ছিল শারদা দেশ! জানেন কি এই শক্তি পীঠের মাহাত্ম্য?
+ There are no comments
Add yours