মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসুদ আজহারের (Pakistan on Masood Azhar) হাত ছেড়েছে পাকিস্তান (Pakistan)। পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রক আফগানিস্তানের (Afghanistan) তালিবান সরকারকে চিঠি লিখে কুখ্যাত জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে দ্রুত খুঁজে বের করে গ্রেফতার করার আর্জি জানিয়েছে। বিষয়টি কিছুদিন আগেই সামনে এসেছে। এবার এ বিষয়ে এবার মুখ খুলল আফগানিস্তান সরকার। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, মাসুদ সম্ভবত পাকিস্তানেই আত্মগোপন করে রয়েছেন। তিনি বলেন, "পাকিস্তান দাবি করেছে, জইশ প্রধান আফগানিস্তানের নানাগড়হর অথবা কানহারে রয়েছে। কিন্তু আদতে তিনি আফগানিস্তানে নেই।" আফগানিস্তানের এই দাবির পর ফের বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুন: গুজরাট উপকূলে আটক ২০০ কোটি টাকার মাদক, বরাত দেওয়া হয়েছিল পাঞ্জাব জেল থেকে
পাকিস্তানের এই পদক্ষেপকে 'লোক দেখানো' বলে কটাক্ষ করেছেন ভারতের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। এফএটিএফ-এর ধূসর তালিকা থেকে নিজেকে বার করে আনতে মরিয়া পাকিস্তান। পাকিস্তানের চিঠির বিষয়টি সামনে আসার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু হয়েছিল যে জইশ প্রধান কি আফগানিস্তানের গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন?
এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুলল তালিবান। মাসুদ প্রসঙ্গে মুজাহিদ বলেন, “জইশ গোষ্ঠীর নেতা মাসুদ আজহার আফগানিস্তানে নেই। এই সংগঠন পাকিস্তানে রয়েছে। আমাদের কাছে এই নিয়ে কিছুই জানতে চাওয়া হয়নি। আমরা সংবাদমাধ্যমে এই খবর শুনেছি। আমরা বলতে চাই, এই কথা সম্পূর্ণ অসত্য।” তালিবানে বিদেশমন্ত্রক দাবি করেছে, এই ধরনের খবর কাবুল ও ইসলামাবাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে। তালিবানের আরও এক মুখপাত্র আব্দুল কাহার বলখি বলেন, “যার কোনও প্রমাণ বা নথি নেই, সেই ধরনের অভিযোগ থেকে আমরা সকলকে বিরত থাকা আবেদন জানাচ্ছি। সংবাদমাধ্যমের এই ধরনের অভিযোগ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের যন্ত্রাংশ দেওয়ার মার্কিন সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ ভারত
রাষ্ট্রপুঞ্জ ঘোষিত জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইসলামাবাদকে বাধ্য করেছে প্যারিসের ফাইনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স অথবা এফএটিএফ (FATF)। এরপরই বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে পাকিস্তানের চিঠির কথাটি প্রকাশ্যে আসে। এর আগে এফএটিএফের চাপেই পাকিস্তানের আরেক জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষ নেতা সাজিদ মীরের মৃত্যুর বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে পাকিস্তান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours