মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি ব্লকের বড়শাল গ্রাম। রাতভর গ্রামে একের পর এক বিজেপি (BJP) কর্মীর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়ে নির্বিচারে ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। পুলিশকে জানিয়ে নিরাপত্তা চাইলে পুলিশ পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকেই আতঙ্কে গোটা বড়শাল গ্রামে।
ঠিক কী অভিযোগ?
শনিবার গ্রামে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে বিজেপি (BJP) কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেই বচসা পরে মিটে গেলেও ভোট মিটতেই তৃণমূলের নেতৃত্বে গ্রামে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। গ্রামে হামলা করে একের পর এক বিজেপি কর্মীর বাড়িতে তাণ্ডব চালানো হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় গ্রামের একাধিক টালির চালা। গ্রাম জুড়ে চলে ইট বৃষ্টি। হামলা চলাকালীন বিষয়টি গঙ্গাজলঘাঁটি থানায় জানানো হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা গ্রাম ছাড়ার পর গ্রামে পুলিশ পৌঁছে পাল্টা বিজেপি কর্মীদেরই মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার রাত থেকেই আতঙ্ক চেপে বসেছে গ্রাম জুড়ে। গ্রামে আতঙ্ক এতটাই যে গ্রামবাসীরা রবিবার সকাল থেকে বাড়ির বাইরে বেরোতেও ভয় পাচ্ছেন। ঘটনার পর গ্রামে হাতেগোনা কয়েকজন পুলিশ মোতায়েন করা থাকলেও তাদের উপর ন্যুনতম আস্থা নেই গ্রামবাসীদের।
কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?
এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে পুলিশ ও তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। তিনি বলেন, তৃণমূলীরা গ্রামে তাণ্ডব চালাল। আর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার করল। এটা মেনে নেওয়া যায় না।
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতেন গড়াই বলেন, বড়শাল গ্রামের ঘটনাটিকে গ্রামের একটি পরিবারের পারিবারিক বিবাদ। তার জেরেই গণ্ডগোল। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল কোনওভাবেই দায়ী নয়।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours