তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল
দ্রুত ওজন ঝরাতে অনেকেই মরিয়া হয়ে ওঠেন। স্থূলতা রুখতে অনেকেই রান্নায় তেল (Cooking Oil) একেবারেই ব্যবহার করেন না। অনেকই আবার এয়ার ফ্রায়ারেই অধিকাংশ রান্না করেন। কিন্তু পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই অভ্যাস একেবারেই অস্বাস্থ্যকর। রান্নায় অতিরিক্ত তেল ব্যবহার যেমন অস্বাস্থ্যকর, তেমনি ভালো নয় একেবারেই তেল ব্যবহার না করা, যাকে বলে নো-অয়েল কুকিং। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন একেবারেই তেলবিহীন রান্না খেলে, এর জেরে শরীরে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। অতিরিক্ত তেল যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকারক, তেমনি তাঁরা বলছেন, তেল খাওয়ার কিছু উপকার রয়েছে। তাই ন্যূনতম তেল অবশ্যই রান্নায় ব্যবহার করতে হবে।
রান্নায় তেলের ব্যবহার কেন উপকারী? (Cooking Oil)
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভারতে রান্নায় যে ধরনের তেল ব্যবহার করা হয়, সেগুলো অধিকাংশ শরীরের জন্য বিশেষ উপকারী। তাই অল্প পরিমাণ তেল নিয়মিত রান্নায় দেওয়া দরকার।
সর্ষের তেলের উপকার
পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সর্ষের তেলের তৈরি খাবার খেলে, শরীরে ওমেগা থ্রি এবং ওমেগা সিক্সের দারুণ ভারসাম্য তৈরি হয়। এর জেরে ত্বক ভালো থাকে। পাশপাশি চুল পড়ার মতো সমস্যা কমে। একাধিক হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সর্ষের তেলে (Cooking Oil) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ প্রতিরোধেও রান্নার এই উপকরণ বিশেষ সাহায্য করে।
সূর্যমুখী তেলের উপকার (Cooking Oil)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীর সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় ফ্যাটের জোগান জরুরি। তাঁরা জানাচ্ছেন, মানুষের শরীরের প্রয়োজনীয় উপকারি ফ্যাট সহজেই পাওয়া যায় সূর্যমুখী তেল থেকে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেলে ম্যানুস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। এছাড়াও থাকে ওমেগা থ্রি। তাই এই তেল হার্টের জন্য উপকারী। এছাড়াও থাকে ভিটামিন ই। যা শরীর সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই রান্নায় পরিমিত সূর্যমুখী তেলের ব্যবহার শরীরের পক্ষে ভালো বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
রাইস অয়েল থেকে বিশেষ উপকার
রান্নায় রাইস অয়েলের (Cooking Oil) ব্যবহার বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই তেল হৃদপিণ্ডের জন্য বিশেষ উপকারী। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই তেলে হার্টের জন্য উপকারী চর্বি থাকে। স্যাচুরেটেড ফ্যাট একেবারেই থাকে না। তাই এই তেল দিয়ে রান্না করলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। পাশপাশি ডায়বেটিস আক্রান্তদের জন্যও এই তেল উপকারী। কারণ এই তেল রক্তে অতিরিক্ত শকর্রার পরিমাণ বৃদ্ধিতে নিয়ন্ত্রণ আনে।
তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা?
বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রান্নায় ন্যূনতম তেল অবশ্যই নিয়মিত ব্যবহার জরুরি। তবে ভিন্ন রকমের তেল মিশিয়ে রান্না করলে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, সূর্যমুখী তেল, রাইস অয়েল কিংবা সর্ষের তেল (Cooking Oil) মিশিয়ে রান্না করলে শরীরে বিভিন্ন উপাদানের জোগান ঠিকমতো হয়। ভারসাম্যও বজায় থাকে।
তেলবিহীন রান্না খেলে কী সমস্যা হতে পারে? (Cooking Oil)
চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তেলবিহীন রান্না দিনের পর দিন খেলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর জেরে শরীরে একেবারেই উপকারী ফ্যাটের জোগান বন্ধ হতে পারে। এর জন্য হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। একাধিক হাড়ের সমস্যাও হতে পারে। পাশপাশি ভিটামিন ই-র অভাব শরীরে নানা রোগের কারণ হতে পারে। শরীরে ভিটামিন ই-র জোগান মূলত তেল থেকেই পাওয়া যায়। এর ফলে চুল ও ত্বকের নানান সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ঠিকমতো জোগান পাওয়া যাবে না। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমতে পারে (Cooking Oil)।
DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours