NIA raid: সন্ত্রাসবাদীদের খোঁজে দক্ষিণের দুই রাজ্যে ৩৮ জায়গায় তল্লাশি এনএইএ-র

তেলাঙ্গানার নিজ়ামাবাদে শাহিদ চৌসি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা।
NIA_officers_1200x768
NIA_officers_1200x768

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদীদের সন্ধানে এবার দক্ষিণের দুই রাজ্যে তল্লাশি শুরু করল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। রবিবার দিনভর অন্ধ্রপ্রদেশ (Andhra Pradesh) এবং তেলাঙ্গানায় (Telangana) সব মিলিয়ে মোট ৩৮টি জায়গায় হানা দিল এনআইএ-র দল। এর মধ্যে শুধু মাত্র অন্ধ্রপ্রদেশেই ২৩টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। তেলঙ্গানার নিজামাবাদে এক ব্যক্তির বাড়িতেও হানা দেন গোয়েন্দারা। তাঁকে সোমবার এনআইএ দফতরে তলব করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।  

রবিবার সকালে একসঙ্গে এনআইএ-র ২৩টি দল অন্ধ্রপ্রদেশের ২৩টি জায়গায় হানা দিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত এবং বেআইনি কার্যকলাপের অভিযোগে নিষিদ্ধ সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার (PFI) সদস্যদের ধরে জিজ্ঞাসাবাদও করেন  এনআইএ গোয়েন্দারা। কুর্নুল, গুন্টুর, নেল্লোরের পাশাপাশি নিজ়ামাবাদেও হানা দেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন: বৃহত্তর বেঞ্চের রায় সবসময় প্রাধান্য পাবে, অভিমত শীর্ষ আদালতের

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পিএফআই-এর জেলা আহ্বায়ক সাদুল্লাহ, ও সংগঠনের সদস্য মহম্মদ ইমরান এবং মহম্মদ আবদুল মোবিনকে জেরার জন্য পাকড়াও করে আনা হয়েছে। ক্যারাটে শেখানোর  নাম করে অস্ত্র প্রশিক্ষণ এবং হিংসা ছড়ানোর মতো অভিযোগে রয়েছে এই কজনের বিরুদ্ধে। সেই বিষয়েই জেরা করা হয়। আড়াই মাস আগেই ক্যারাটে শিক্ষক আব্দুল কাদের এবং আরও তিনজনকে যুবকদের সন্ত্রাসবাদে উৎসাহ দেওয়া এবং বেআইনিভাবে অস্ত্র শিক্ষা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করে নিজামাবাদ পুলিশ। গত ৪ জুলাই নিজামাবাদ থানায় মামলা দায়ের হয়। এরপরে এই মামলায় তদন্তের দায়িত্ব পায় এনআইএ। 

তেলাঙ্গানার নিজ়ামাবাদে শাহিদ চৌসি নামে এক ব্যক্তির বাড়ি গিয়ে তাঁর মোবাইল ফোন, পাসপোর্ট এবং ব্যাঙ্কের পাসবই বাজেয়াপ্ত করেছেন এনআইএ গোয়েন্দারা। তাঁকে হায়দ্রাবাদে  এনআইএ দফতরে সোমবার ডাকা হয়েছে। শাহিদের দাবি, তিনি কোনওবেআইনি লেনদেন বা হিংসার সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি একটি পরিষেবা কেন্দ্র চালান। কিন্তু তদন্তকারীরা তাঁর কোনও কথাই শুনতে চাননি বলেও অভিযোগ।  

আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক! দীর্ঘ ৩০ বছর পর কাশ্মীরে খুলল সিনেমা হল 

 নানদয়াল এবং কুর্নুলে স্থানীয় বাসিন্দারা গোয়েন্দাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। অশান্তিও ছড়ায়। পুলিশের অনুমান ওই এলাকাতে বেশ কিছু পিএফআই সদস্যের বাড়ি। আর সেই কারণে তল্লাশি অভিযানে ব্যাঘাত ঘটাতেই পূর্ব পরিকল্পিত এই অশান্ত। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের অনুমান ওই এলাকার অনেক যুবককে মার্শাল আর্ট এবং অস্ত্র বিদ্যায় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হিংসা ছড়ানোর কথা বলতেও শেখানো হয়েছে তাদের। 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles