New island: অগ্ন্যুৎপাত, প্রশান্ত মহাসাগরে সৃষ্টি নয়া দ্বীপের

হোম রিফ নামে আগ্নেয়গিরিটি গত ৪৮ ঘণ্টায় আট বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে...
297666-screen-shot-2022-09-21-at-161016
297666-screen-shot-2022-09-21-at-161016

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টায় আট বার অগ্ন্যুৎপাত। তার জেরে সৃষ্টি নয়া দ্বীপের। অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় (Pacific Ocean) দেশ টোঙ্গার উত্তরে হোম রিফ আগ্নেয়গিরিতে। টোঙ্গা (Tonga) সরকার সতর্কতা জারি করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নয়া দ্বীপ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ১০ দিনে আগ্নেয়গিরিটি (Volcano) অন্তত ৬০ বার অগ্ন্যুৎপাত করেছে। অগ্ন্যুৎপাতের জেরে নির্গত লাভা ও ছাই ছড়িয়ে পড়েছে প্রায় দু মাইল এলাকা জুড়ে। 

দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে থাকা আগ্নেয়গিরি শ্রেণিটি পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো জীবন্ত আগ্নেয়গিরি শ্রেণি। এই আগ্নেয়গিরিশ্রেণির বিস্তৃতি নিউজিল্যান্ড (New Zealand) থেকে টোঙ্গা পর্যন্ত। এই আগ্নেয়গিরিশ্রেণির মধ্যে হোম রিফ ফের জেগে উঠেছে ১০ সেপ্টেম্বর থেকে। অগ্ন্যুৎপাত হওয়ার এগারো ঘণ্টা পরেই একটি নতুন দ্বীপ দেখা গিয়েছে। ১৪ সেপ্টেম্বর অপারেশনাল ল্যান্ড ইমেজার-2 (OLI-2)পদ্ধতির মাধ্যমে সদ্যজাত এই দ্বীপটির ছবি তোলা হয়েছে। টোঙ্গার ভূতাত্ত্বিক বিভাগ জানিয়েছে, নয়া দ্বীপটির বিস্তৃতি প্রায় ১ একর এলাকা জুড়ে। সমুদ্রতল থেকে প্রায় ১০ মিটার উঁচুতে অবস্থান করছে দ্বীপটি। ২০ সেপ্টেম্বর ফের অগ্ন্যুৎপাত হয়। দ্বীপের বিস্তার বেড়েছে আরও ৬ একর। লেট দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিমে, হুঙ্গা টোঙ্গা-হুঙ্গা হাপাই (Hunga Tonga-Hunga Ha'apai) এর উত্তর-পূর্বে এবং মউঙ্গা'ওনের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থান করছে এই দ্বীপটি। আরও স্পষ্টভাবে বললে বলতে হয়, টোঙ্গা-কারমাডকের কেন্দ্রস্থলে অবস্থান করছে এই দ্বীপ। এই জায়গায় থাকা তিনটি প্লেটের পরস্পরের সঙ্গে প্রচণ্ড গতিতে সংঘর্ষ হওয়ায় গভীরতম গর্তের সৃষ্টি হয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরের তলদেশে। অতিরিক্ত এই চাপই আগ্নেয়গিরিগুলিকে ফের জাগিয়ে তুলছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

আরও পড়ুন: পুতিনের সামরিক ঘোষণার পরই রাশিয়া ছাড়ার ধুম, ‘ওয়ান ওয়ে ফ্লাইট’ টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে

সচরাচর নব গঠিত এই দ্বীপগুলির আয়ু ক্ষণস্থায়ী। তবে কিছু কিছু দ্বীপ বছরের পর বছর টিকে রয়েছে। হোম রিফে এর আগেও চারবার  অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনা ঘটেছিল। ১৯৮৪ ও ২০০৬ সালে অগ্ন্যুৎপাতের জেরে সৃষ্টি হয়েছিল ক্ষণস্থায়ী দ্বীপের। কিছুদিনের মধ্যেই অবশ্য সমুদ্রে ডুবে যায় সেই দ্বীপগুলি। ২০২০ সালে লেটকি আগ্নেয়গিরির (Late'iki Volcano) টানা ১২ দিনের অগ্ন্যুৎপাতের (Eruption) জেরে সৃষ্টি হওয়া দ্বীপটি তলিয়ে গিয়েছিল দু মাসের মধ্যে। যদিও ১৯৯৫ সালে ওই আগ্নেয়গিরি দ্বারা গঠিত অন্য একটি দ্বীপ প্রায় টিকে ছিল ২৫ বছর ধরে। 

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles