মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে পালাবদল। সম্প্রতি নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) পুষ্পকমল দহল ওরফে প্রচণ্ডকে ভোটে হারিয়ে শের বাহাদুর দেউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন কেপি শর্মা ওলি (KP Sharma Oli)। শুক্রবার ১২ জুলাই আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। প্রচণ্ডকে সমর্থন করেছেন মাত্র ৬৩ জন। আর বাকি ১৯৪ জন বিরোধিতা করেছেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নেপাল পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি।
প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা পুষ্পকমল দহলের (Nepal PM)
শুক্রবার নেপাল পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজ়েনটেটিভসে আস্থাভোট পরাজিত হওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড। তার আগেই অবশ্য নেপালি কংগ্রেস-সিপিএন (UML) জোটের কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষিত হয়েছিল। জানা গিয়েছে, শনিবার ১৩ জুলাই আনুষ্ঠানিক ভাবে জোট সরকারের প্রধান হিসাবে ‘চিনপন্থী’ নেতা কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্কসিস্ট লেনিনিস্ট)-এর প্রধান কেপি শর্মা ওলির নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর নাম নিয়ে জল্পনা ছিল। যদিও নেপালি কংগ্রেসের ৮৯ জন এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (CPN)-এর ৭৮ মিলিয়ে মোট ১৬৭ জন সংসদের সমর্থন ওলির সঙ্গে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: হিন্দু, বৌদ্ধ ও জৈন চর্চা হবে জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে! কবে থেকে শুরু পঠনপাঠন?
আগের ইতিহাস
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী (Nepal PM) হয়েছিলেন প্রচণ্ড। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা। মোট চার বার জোট বদলে গদি বাঁচালেও এবার ‘চিনপন্থী’ ওলি (KP Sharma Oli) ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার গণিতের হিসাবে প্রচণ্ড তাঁর গদি হারান।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours