Jawaharlal Nehru: নেহরুর মানসিকতা ছিল ঔপনিবেশিক? বিস্ফোরক আরএসএস শিক্ষাবিদ

"২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হবে ভারত..."
rss
rss

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) ঔপনিবেশিক মানসিকতা (colonial mindset) ছিল। তাঁর মৌলিকতাও ছিল না। সেই কারণেই ভারত (India) অতীতে বিশ্বের সামনে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিল। দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর বিষয়ে এই মত পোষণ করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক মুকুল কানিতকর। একইসঙ্গে তিনি আশাবাদী, ২০২২ সালেই হৃত অ্যাকাডেমিক গৌরব পুনরুদ্ধার এবং বিশ্বের কাছে তার সংস্কৃতি উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে ভারত।

বৃহস্পতিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে (Delhi University) তিনদিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক আলোচনাসভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিচ্ছিলেন কানিতকর। বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি উপলক্ষে ওই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল। আলোচনার বিষয়বস্তু ছিল, ‘রিভিজিটিং আইডিয়াজ অফ ইন্ডিয়া ফ্রম স্বরাজ টু নিউ ইন্ডিয়া’। কানিতকরের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

আলোচনাসভায় নেহরুর মতাদর্শকে আক্রমণ করেন কানিতকর। বলেন, একবার নেহরুকে চিঠি লিখে মহাত্মা গান্ধী (Mahatma Gandhi) অনুরোধ করেছিলেন, উন্নয়ন যাতে একেবারে গরিব শ্রেণি পর্যন্ত পৌঁছয়, তার জন্য "গ্রাম স্বরাজ" বা স্বনির্ভর গ্রামকে মান্যতা দেওয়া হোক। এর জন্য গান্ধী ৬টি পয়েন্টে গোটা বিষয়টি ভেঙে বুঝিয়েছিলেন নেহরুকে। কিন্তু, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেননি। কারণ, তাঁর মধ্যে কোনও নিজস্বতা ছিল না এবং তাঁর মানসিকতা ঔপনিবেশিক ছিল। আরেকটি সুযোগ হারিয়েছিল বাংলাদেশ গঠনের সময়। ভারত সেই সময় সহজেই এই উপ-মহাদেশে নিজের জন্য একটা জায়গা তৈরি করতে পারত।

কানিতকর বলেন, ভারত বিশ্বের কাছে তার প্রকৃত শিক্ষার আত্মাকে উপস্থাপন করার সুযোগের বেশ কয়েকটি জানালা হারিয়েছে। কিন্তু এখন আর আমাদের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়। তিনি বলেন, বিবাদের সমাধান এবং ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দেওয়া হয়েছে সনাতন হিন্দু ধর্মেই। এগুলিকে একটি সামাজিক বিজ্ঞান তত্ত্বের আকারে উপস্থাপন করা প্রয়োজন। তাহলেই বিশ্ব আমাদের ভারতীয় সংস্কৃতি অনুসরণ করবে। কানিতকর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের গবেষণা ও অ্যাকাডেমিক কাজের মাধ্যমে বিশ্বের কাছে ভারতে সমৃদ্ধ সংস্কৃতি উপস্থাপন করা উচিত।

আরও পড়ুন : "ঐতিহাসিক তথ্যগুলিকে এখনই...", জ্ঞানবাপী নিয়ে বড় মন্তব্য আরএসএসের

ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন বলেও মনে করেন কানিতকর। তিনি বলেন, ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের স্বতন্ত্রতা হারিয়েছেন এবং ভারতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হতে ব্যর্থ হয়েছেন। আরএসএসের সহযোগী ভারতীয় শিক্ষামণ্ডলের জাতীয় সম্পাদক বলেন, ১৮৩৫ সালের পরে ভারতীয় শিক্ষাবিদরা তাঁদের মৌলিকতা হারিয়ে ফেলেছিলেন এবং এখনও পর্যন্ত তা পুনরুদ্ধার করেননি। পোখরান পরীক্ষা ও দেশীয়ভাবে তৈরি জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষা ভারতীয় গবেষণার সত্যিকারের নিদর্শন। এর পরেই তিনি নিশানা করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে।

এদিনের অনুষ্ঠান বক্তৃতা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে হতে হবে পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Modi) ভারতকে আন্তর্জাতিক সম্মান এনে দিয়েছেন বলেও মনে করিয়ে দেন শাহ।

 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles