মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় এখনও উদ্ধারকাজ অব্যাহত। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় তুরস্ক ও সিরিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। ভারত থেকে পাঠানো হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী, এনডিআরএফ-র টিম ও বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ডগ স্কোয়াড। আর এই ডগ স্কোয়াডের অবদান অপরিসীম। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কের নুরদাগি শহরে ধ্বংসস্তুপের নীচ থেকে ৬ বছরের এক বালিকাকে জীবিত উদ্ধার করেছেন ভারতীয় উদ্ধারকারীরা৷ এনডিআরএফ-এর এই উদ্ধারকাজে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছে তাদের ডগ-স্কোয়াডের দুই সদস্য রোমিও এবং জুলি৷ ধ্বংসস্তুপের তলায় প্রাণের স্পন্দনের খোঁজ এই সারমেয়ই দেয় উদ্ধারকারীদের। এমনকী কলকাতায় মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পরে উদ্ধারের কাজে সাহায্য করেছিল রোমিও ও জুলি।
উদ্ধারকাজে রোমিও ও জুলির অবদান অপরিসীম
৬ ফেব্রুয়ারি বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকা৷ উদ্ধারকাজে যোগ দিতে ভারত থেকে তুরস্কে গিয়েছে এনডিআরএফ-এর দল। রোমিও ও জুলি ছাড়াও সঙ্গে পাঠানো হয় আরও কয়েক জন কুকুরকে। তাদের নাম বব, রক্সি, র্যাম্বো এবং হানি। সব মিলিয়ে ৬ সদস্যের সারমেয় টিম। এছাড়া সঙ্গে আরও ১৫২ জন। তারাই উদ্ধার কাজ চালায় তুরস্কে। তবে সবচেয়ে পারদর্শিতার সঙ্গে উদ্ধারের কাজ করে রোমিও এবং জুলিই। এনডিআরএফ-এর সদস্যরা জানিয়েছেন, রোমিও ও জুলি ছাড়া ওই বালিকার সন্ধান পাওয়া বা তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হত না৷ বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত এই দুই সারমেয় গন্ধ শুঁকেই জানিয়ে দিয়েছিল ধ্বংসাবশেষের তলায় কেউ জীবিত অবস্থায় আটকে রয়েছে৷ তাদের দেখানো পথে গিয়েই পরে ওই বালিকাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়৷
#TurkeyEarthquake | Sniffer dogs of NDRF, Julie and Romeo saved a six-year-old girl who was trapped under the debris at the earthquake-hit Nurdağı. pic.twitter.com/HCVv6wcibf
— ANI (@ANI) February 13, 2023
কীভাবে রোমিও ও জুলি উদ্ধার করে ৬ বছরের ব্যারেনকে?
এনডিআরএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রথমে জুলিই ওই ধ্বংসস্তুপের তলায় আটকে থাকা বালিকার সন্ধান পায়৷ যার নাম ব্যারেন৷ তাঁর কথায়, "জুলিকে আমরা নির্দেশ দিই ধ্বংসস্তুপের মধ্যে যেতে৷ সেখানে গিয়ে সে ডাকতে শুরু করে৷ এর মানে সেখানে কোনও জীবিত মানুষ রয়েছে৷" ওই উদ্ধারকারী দলের আরও একজন সদস্য জানান, জুলির ওই বার্তা পাওয়ার পর বিষয়টি আরও নিশ্চিত হতে সেখানে রোমিওকে পাঠানো হয়৷ সেও একই বার্তা দেয়৷ এরপরেই নিশ্চিত হয়ে সেখানে উদ্ধারকাজ শুরু হয়, বাঁচানো সম্ভব হয় ৬ বছরের ব্যারেনকে।
কলকাতায় এক দুর্ঘটনায় উদ্ধারকাজেও ছিল রোমিও ও জুলি
সূত্রের খবর, এর আগেও দেশে এরকম কয়েকটি উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে রোমিও ও জুলি৷ কলকাতায় মাঝেরহাট নামে একটি সেতু ভেঙে যাওয়ার পরে তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল৷ তবে বিদেশে এই প্রথম পাড়ি দিল এই দুই সারমেয়। এরা বীরের মত যেভাবে শিশুটির প্রাণ বাঁচিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ফলে রোমিও ও জুলির কীর্তি নিয়ে জয়জয়কার করছে সারা দেশবাসী সহ তুরস্কবাসী।
+ There are no comments
Add yours