মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এগরা বিস্ফোরণ (Egra Blast) কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শুক্রবার এই রিপোর্ট তলব করা হয়। জানা গেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুল গ্রামের ওই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিপির কাছ থেকে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় কমিশন। ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্যে স্পষ্ট, এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে। তাই আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই ঘটনার রিপোর্ট জমা দিতে হবে রাজ্যকে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘১৭ মে ২০২৩ এর ওই ঘটনায় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। জনতা এও দাবি করে, পুলিশের সঙ্গে সমঝোতা করেই অভিযুক্তরা অবৈধভাবে বাজি কারখানা চালাত।’’
মঙ্গলবারই এগরায় অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটে
চলতি সপ্তাহে মঙ্গলবারই এগরায় বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের (Egra Blast) ঘটনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ভানু বাগ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার কটকের একটি হাসপাতালে মারা যান। বিস্ফোরণে ভানু বাগ ব্যাপকভাবে জখম হয়েছিলেন। তাঁর শরীরের আশি শতাংশই পুড়ে যায়। কিন্তু তদন্তকারীদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি পড়শি রাজ্য ওড়িশাতে গা ঢাকা দেন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ছেলে এবং ভাইপোর সঙ্গে সিআইডি গ্রেফতার করে তাঁকেও। ভানু বাগের শেষকৃত্যের পরেই তাঁর ছেলেকে সিআইডি হেফাজতে নেবে বলে জানা গেছে।
কোন কোন ধারায় হল মামলা?
আইপিসি ৩০২ (খুন), আইপিসি ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), এই দুটির পরেও দ্য এক্সপ্লোসিভ অ্যাক্ট ১৮৮৪-এর ৯বি ধারা যোগ হয়। কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক্সপ্লোসিভ সাবস্টেন্সেস অ্যাক্ট ১৯০৮-এর কোনও ধারা দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। মামলা হালকা করতেই কি প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত? যদিও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এর কোনও সদুত্তর মেলেনি।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours