মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠ দফা ভোটের আগে রণক্ষেত্র নন্দীগ্রাম (Nandigram)। জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর দোকান, ভাঙচুর-বিক্ষোভের আঁচে উত্তপ্ত এলাকা। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাতে না যায় তাই নন্দীগ্রাম থানা থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পৌঁছে গিয়েছে এলাকায়। একই সঙ্গে রয়েছে পুলিশ। আজ সোনাচূড়া, মনসা বাজার এলাকয় বিজেপির পক্ষ থেকে বন্ধ পালিত হয়। অপর দিকে বিকেল পাঁচটায় সভা করবেন শুভেন্দু অধিকারী।
সকাল থেকেই উত্তপ্ত নন্দীগ্রাম (Nandigram)
২৫ মে শনিবার ভোট, আজই নন্দীগ্রামে (Nandigram) নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিন। কিন্তু ইতিমধ্যে এক বিজেপি কর্মী মহিলাকে খুনের ঘটনায় বিজেপি ব্যাপক বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করেছে এলাকায়। মূল অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। খুনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের আচ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা নন্দীগ্রাম জুড়ে। আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেওয়া হল বাড়ি-ঘর, দোকান। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ১০০ কোম্পানির উপর বাহিনীকে এলাকায় মজুত করা হয়েছে। আরও ফোর্স নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ব্যানার লাগাতে গিয়ে তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ঝামেলা হয়। এরপর বিজেপি সমর্থিত মহিলাকে খুন করা হয়। তবে এই খুনের পিছনে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উস্কানি মূলক ভাষণকেই বিজেপি দায়ী করেছে। এরপর বিজেপি আজ প্রতিবাদে বন্ধ ডাকা হয়।
কী বললেন শুভেন্দু?
শুভেন্দু ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়ে বলেছেন, “একজন মহিলাকে নন্দীগ্রামে (Nandigram) খুন করা হয়েছে। আমি গুন্ডাদের কীভাবে সোজা করতে হয় তা আমি জানি। কেষ্ট, শাহজাহানরা কোথায়? সব কিছুর বদল হবে। একজন মাঝ বয়সী মহিলাকে মেরে দিলে বদলা অবশ্যই হবে।” নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।
সনাতনী শহীদ বীরাঙ্গনা রথীবালা আড়ি অমর রহে 🙏
— Suvendu Adhikari (Modi Ka Parivar) (@SuvenduWB) May 23, 2024
গতকাল রাতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ার মনসাবাজার এলাকায় বিজেপি কর্মীরা বুথ পাহারা দিচ্ছিলেন। সেইসময় ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা।
৭ জন ধারাল অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। প্রাণ হারান রথীবালা আড়ি।… pic.twitter.com/JpTWR32Jug
আরও পড়ুনঃ“নথি চেয়ে যোগ্য-অযোগ্য শিক্ষকদের গুলিয়ে দিতে চাইছেন মমতা”, তোপ সুকান্তর
কী বলেছিলেন অভিষেক?
তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক প্রচার সভায় বলেছিলেন, “নন্দীগ্রাম (Nandigram) ১ নম্বর ব্লকে সোনাচূড়া, হরিপুর, গোকুলনগর, ভেকুটিয়া আর আর দু’নম্বর ব্লকের বয়ালনগর ১, বয়াল ২ এই জায়গায় যাঁরা মানুষকে ভোট দিতে দেয়নি তাঁদের তালিকা আমার কাছে রয়েছে। এর পরিণতি খুব খারাপ হবে সতর্ক করলাম। কোনও বাবা বাঁচাবে না। কেউ বাঁচাবে না।” আবার তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান বলেন, “অভিষেক কোনও প্ররোচনা দেননি। আক্রমণের কথা তিনি বলেননি। বিজেপির পতাকা বাঁধার লোক নেই ওই এলাকায়।”
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours