মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডুরান্ড কাপে মোহনবাগানের জয়ের ধারা অব্যাহত। সোমবার কিশোরভারাতী স্টেডিয়ামে সবুজ মেরুন ব্রিগেড ২-০ গোলে হারালো পাঞ্জাব এফ সি কে। প্রথম গোলটি আত্মঘাতী। দ্বিতীয় গোলটি করেন হুগো বোমাস। এই জয়ের সুবাদে গ্রুপ শীর্ষে চলে গেল মোহনবাগান। যা শনিবার ডার্বির আগে ফেরান্দোর ফুটবলারদের মনোবল অনেকটাই বাড়িয়ে দেবে।
আক্রমণাত্মক ফুটবল
তবে স্কোরলাইন থেকে যদি মনে হয় ম্যাচটা একতরফা হয়েছে তাহলে ভুল হবে। শুরুতে দুই দল একে অপরকে মেপে নেওয়ার চেষ্টা করে। তার মধ্যে গড়ে ওঠে কিছু বিক্ষিপ্ত আক্রমণ। মনবীরের ক্রস থেকে প্রথম গোলটি হয়। ডান দিক থেকে আসা ক্রসটি ক্লিয়ার করতে গিয়ে পিছলে পড়ে যান পাঞ্জাব এফ সির মেলরয় আসিসি। বল তাঁর পায়ে লেগে গোলে ঢুকে যায় (১-০)। দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান বাড়ান হুগো বোমাস। বাঁ দিক থেকে বিপক্ষের বক্সে বল ভাসান লিস্টন কোলাসো। যা ধরে গোল করার চেষ্টা করেন বোমাস। কিন্তু পাঞ্জাবের এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ফিরতি বল গোলে ঠেলতে ভুল করেননি মোহনবাগনের তারকা স্ট্রাইকার।
Clean sheet, two goals, three points, job done ✅ #MBSG #JoyMohunBagan #আমরাসবুজমেরুন pic.twitter.com/jKO8oW0G2B
— Mohun Bagan Super Giant (@mohunbagansg) August 7, 2023
তবে বৃষ্টি ভেজা মাঠে পাসিং ফুটবল খেলতে বেশ সমস্যায় পড়েন দুই দলের ফুটবলাররা। মোহনবাগান কোচ হুগো ফেরান্দো এই মরশুমে প্রথমবার বিদেশীদের মাঠে নামালেন। অভিষেক হল আনোয়ার আলিরও। মোহনবাগানের এই জয় প্রত্যাশিত। কারণ দল গঠনের ক্ষেত্রে এবার কার্পণ্য করেননি সঞ্জীব গোয়েঙ্কা। কোটি কোটি টাকা খরচ করে শক্তিশালী দল গড়ে তুলেছেন। নিয়েছেন দেশের প্রথম সারির এক ঝাঁক ফুটবলারকে।
চিন্তামুক্ত নন কোচ ফেরান্দো
তবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে মোহনবাগান জয় পেলেও চিন্তামুক্ত থাকতে পারলেন না কোচ ফেরান্দো। গোল শোধের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে পাঞ্জাব এফসি। ভাগ্য তাদের সহায় হলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেও পারতো। জোয়ান মিরার শর্ট ক্রস পিসে লেগে প্রতিহত না হলে ব্যবধান কমাতে পারতো পাঞ্জাব। ৫৬ মিনিটে লুকাসের চকিত শট দক্ষতার সঙ্গে সেভ করেন মোহনবাগানে গোলরক্ষক বিশাল কেইথ। প্রিয় দলের জয় খুশির হাওয়া মোহনবাগান শিবিরে। সমর্থকদের উচ্ছাস ছিল চোখে পড়ার মতো। কারণ শনিবার মরশুমের প্রথম ডার্বি। অশ্বমেধ ঘোড়ার মতো ছুটছে সবুজ মেরুন ব্রিগেড। উল্টোদিকে ধুঁকছে ইস্টবেঙ্গল। তবে ফেরান্দো জানেন ডার্বির গুরুত্ব কতটা অপরিসীম। তাই ছেলেদের চাপ মুক্ত রাখতে তিনি বলছেন, "আমি শুধু ডার্বি নিয়ে ভাবছি না। একইসঙ্গে কলকাতা লিগ এবং এফসি কাপকেও সমান গুরুত্ব দিচ্ছি। সেই কারণেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলানো হচ্ছে ছেলেদের। যাতে ক্লান্তি গ্রাস না করতে পারে। সামনে অনেক ম্যাচ। অবশ্যই ডার্বিকে বাড়তি প্রাধান্য দিতে হবে। তাই ফুটবলারদের ফিট রাখাটাও জরুরী।"
+ There are no comments
Add yours