Mithun Chakraborty: ‘‘নাম তুফান, যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে’’, নিজস্ব স্টাইলে বাসন্তী মাতালেন মিঠুন

Mithun Chakraborty: ২১-এর বেশি তৃণমূল নেতা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, বিস্ফোরক দাবি মিঠুনের
মিঠুন
মিঠুন

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি লিডার নন, সাধারণের মতই ক্যাডার। এমনটাই বলতে শোনা গেল 'মহাগুরু'কে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে ব্যস্ত বঙ্গ বিজেপি। বিজেপির এই ভোট প্রচারের অন্যতম প্রধান সৈনিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty)। জেলায় জেলায় জনসংযোগে মেতেছেন তিনি। ফলে গতকাল, বুধবার বাসন্তীতে দেখা গেল অভিনেতাকে। আর সেখানে গিয়ে বক্তৃতা নয়, ডায়লগেই জনগণের মন জয় করলেন মহাগুরু। তিনি বলেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” এর পাশাপাশি তিনি আজ এক বিস্ফোরক দাবি করলেন। তিনি জানালেন, তাঁর সঙ্গে ২১ জনের বেশি তৃণমূল নেতা ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন। আর এর পরেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।

ভোট প্রচারে ডায়লগেই বাজিমাত ‘মহাগুরু’-র

রাজ্যে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তবে এখনও এর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলি এর প্রস্তুতি জোরকদমে শুরু করেছে। আবার লোকসভা নির্বাচনেরও দেরী আছে, তার আগেই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ভোট প্রচারে ব্যস্ত বিজেপি (BJP)। ফলে কাল তিনি পৌঁছে যায় বাসন্তীতে। প্রথমে রোড শো করেন ও পরে সভাতেও অংশ নেন। বাসন্তীর সোনাখালির সভায় হাজির ছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালও।

তার পর এক দলীয় কর্মীর বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন। এর পর তিনি সমাবেশে বলতে উঠে প্রথমেই জানিয়ে দেন, “আমি লিডার নই, আপনাদের মতোই ক্যাডার। আমাকে বক্তৃতা দিতে বললে পারব না। আমি বক্তৃতা দিই না।” কিন্তু সেখানে উপস্থিত মানুষজন মিঠুনের ডায়লগ শুনতে চান। তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন “আমি একটি ডায়লগই বলব।” বক্তৃতার শেষে তিনি একথা বলেই বলেন, “নাম তুফান। বছরে এক আধবার আসি। যখন আসি তখন প্রলয় ঘটে। আর যখন যাই তখন সবাই তার অস্তিত্ব খুঁজে বেরায়।” এর পর জনতার হাততালিতে মুখরিত হয় জনসভা।

আরও পড়ুন: মিড-ডে মিলের টাকায় জেলা সফর মুখ্যমন্ত্রীর! কীভাবে? নথি প্রকাশ শুভেন্দুর

আবার তিনি সিএএ-এর প্রসঙ্গ এনেও বলেন, “আপনার কাছে আসল আধারকার্ড, আসল ভোটার পরিচয়পত্র থাকলে নাকে তেল দিয়ে ঘুমোন। কেউ আপানাকে এ দেশ থেকে বের করতে পারবে না।” মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের কাছেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান অভিনেতা। তিনি বলেন, “গুজরাট নির্বাচনে মুসলমান ভাইবোনরা ভোট না দিলে এত ভোটে জিতে আসত পারত। উত্তরপ্রদেশেও মুসলমানরা ভোট না দিলে এত আসন পাওয়া যেত।”

মিঠুনের বিস্ফোরক দাবি

তৃণমূলের ২১ জন বিধায়কই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এই দাবি আজকে নয়, বহুদিন আগে থেকেই এই দাবি করে আসছেন মিঠুন চক্রবর্তী। এদিন আবারও একসুর শোনা গেল মিঠুনের গলায়। সুকান্ত মজুমদার আবার একবার দাবি করেছিলেন, “মিঠুনদার সঙ্গে ২১ জন যোগাযোগ রাখলে আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে ৪১ জন যোগাযোগ রাখছেন।” মিঠুন চক্রবর্তী আরও বলেন, “তৃণমূলে অনেকে রয়েছেন, যাঁরা সবাই সমান নন, দমবন্ধ অবস্থা রয়েছেন। আমাদের সঙ্গে অনেকেই যোগাযোগ রাখছেন। তার মধ্যে ২১ জন আমরা সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রাখছেন। আমি প্রোটোকল ছাড়া কাজ করি না। যা বলার বলে দিয়েছি। যে কোনও সময়ে, যা কিছু হতে পারে।”

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles