মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হতেই ভূস্বর্গে ফের সক্রিয় পাকিস্তানি জঙ্গি (Militant) সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং জয়েশ-ই-মহম্মদ। কাঠুয়ার সেনা কনভয়ে হামলার ঘটনায় জড়িত চার জঙ্গির ছবি (স্কেচ) প্রকাশ করল জম্মু ও কাশ্মীর (Kashmir) পুলিশ। পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গতিবিধি সম্পর্কে খবর দিলে মাথাপিছু পাঁচ লক্ষ টাকা করে মোট ২০ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Militant)
গত ৮ জুলাই, কাঠুয়া জেলার সদর থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মাচেদি এলাকায় সেনা কনভয় লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা (Militant)। ওই ঘটনায় পাঁচ জন জওয়ান নিহত হন। গুরুতর আহত হন আরও ছয় জওয়ান। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (Kashmir) প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গিরা নিয়ন্ত্রণরেখা (এলওসি) পেরিয়ে এসে ওই হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি। সেনা কনভয়ে হানা দিতে তারা ব্যবহার করেছিল আমেরিকায় তৈরি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন গ্রেনেড লঞ্চার। পাশাপাশি, সেনা জওয়ানদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ের সময় তারা এম-৪ কার্বাইন রাইফেল ব্যবহার করেছিল। উন্নত এই স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রও মার্কিন সংস্থার তৈরি।
এখনও লুকিয়ে ৪০-৫০ জঙ্গি
শনিবার, জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, শেষবার কাঠুয়া জেলার মলহারের ঢোক, বানি এবং সেওজধার এলাকায় ওই জঙ্গিদের দেখা গিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই খবর মিলেছিল, জম্মুর পাহাড়ি অঞ্চলে লুকিয়ে রয়েছে অনুপ্রবেশকারী ৪০ থেকে ৫০ জন জঙ্গি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই জঙ্গিদের উপস্থিতির সম্ভাবনার কথা শনিবার মেনে নিয়েছে পুলিশও। এছাড়া পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া হিরানগরের সাইদা সুখাল গ্রামে দুই জঙ্গি ঢুকে দরজায় টোকা মেরে জল খেতে চায়। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হওয়ায় তাঁরা সতর্ক হয়ে পড়ায় জঙ্গিরা এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। নিরাপত্তারক্ষীরা ছুটে এলে তাদের গাড়ির ওপরও গুলিবর্ষণ করে তারা। এইসব ঘটনায় এক সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আক্রান্ত হিন্দুরা, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন মোদি সরকারের
দায় স্বীকার জয়েশ ঘনিষ্ঠ কাশ্মীর টাইগার্স
রিয়াসিতে তীর্থযাত্রীদের বাসে গুলি করে ১০ জনকে হত্যা করা এক জঙ্গির স্কেচ প্রকাশ করেছে পুলিশ। রিয়াসির হামলা ছাড়াও জম্মুর ডোডা জেলার ভাদেরওয়া-পাঠানকোট সড়কে ৪ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস এবং পুলিশের যৌথ চেকপোস্টে গুলি চালায় জঙ্গিরা। তাতে ৫ জওয়ান এবং এক পুলিশ অফিসার ঘায়েল হয়েছেন। এই ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জয়েশ ঘনিষ্ঠ কাশ্মীর টাইগার্স নামে একটি সংগঠন। ৯ জুন থেকে এ পর্যন্ত জঙ্গি (Militant) হামলায় মোট ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ফের নতুন করে পাকিস্তানের দিকে আঙুল তুলেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি চালানোর সময় গুলিযুদ্ধে তাদেরও ২ জনকে খতম করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। তল্লাশিতে পাকিস্তানে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড ও এক লক্ষ পাকিস্তানি টাকা, বন্দুক, ওষুধ, চকোলেট এবং অন্যান্য শুকনো খাবার উদ্ধার হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Whatsapp, Facebook, Twitter, Telegram এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours