Suvendu Adhikari: ‘‘‘ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা, দুই-ই এক’’, শ্যামপুরের সভা থেকে তোপ শুভেন্দুর

Mamata Banerjee: মমতাকে তুলোধনা করলেন শুভেন্দু, কী বললেন?
Suvendu_Adhikari_(9)
Suvendu_Adhikari_(9)

মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিম বাংলার বিশেষ কোনও ফারাক আছে বলে মনে করেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলাদেশের মতো পশ্চিম বাংলার হিন্দুরাও আক্রান্ত হচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুজোর সময় শ্যামপুর থানা এলাকার একটি দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছিল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। সে সময় ওই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। বুধবার শ্যামপুরে ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিজেপির তরফে সভার আযোজন করা হয়েছিল। সেখানেই হিন্দুদের ওপর আক্রমণের অভিযোগে সরব হন বিরোধী দলনেতা। মমতাকে তুলোধনা করেন।

ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক (Suvendu Adhikari)

বুধবার হাওড়ার শ্যামপুরে দলীয় এক সভা থেকে মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তুলনা টেনে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাংলাদেশের মতো বাংলাতেও হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও কিছু বলা যাবে না। কারণ, প্রতিবাদ জানালেই আপনার গায়ে সাম্প্রদায়িক তকমা সাঁটিয়ে দেবে। হিন্দু আক্রান্ত হলে, দুর্গাঠাকুর ভাঙলে বলা যাবে না। বললেই আপনি সাম্প্রদায়িক হয়ে যাবেন। ওপারে ইউনূস আর এপারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দুই-ই এক।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘সুবোধ সরকার, বিকাশ ভট্টাচার্যরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে গোমাতা ভক্ষণ করলে সেকুলার হয়ে যাবেন। এটা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের আসল অবস্থা।’’

আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

হিন্দুদের ওপর হামলা নিয়ে সরব

শাসকদল তৃণমূল ও পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘বিজয়দশমীর দিন চারিদিক থেকে সন্ত্রাসবাদী, গুন্ডাদের জড়ো করে একাধিক দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। হিন্দু সমাজকে আতঙ্কে রাখা হয়েছে পাঁচদিন। ১৬৩ ধারা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ করে আপনাদের বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল। শ্যামপুর-সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গুন্ডাদের জড়ো করে তাণ্ডব করা হয়েছে। আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঁচদিন ধরে ঢোকার চেষ্টা করেছি। আমাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। ১৯ তারিখের পরে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। উত্তরবঙ্গে ছিলাম বলে আসতে পারিনি। ২০ তারিখ এসে যে সমস্ত মণ্ডপ ভেঙেছে, যে সমস্ত হিন্দু দোকানদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করেছি। আমরা কোন রাজ্যে আছি,কেন আমাদের এই অত্যাচার সহ্য করতে হবে’’?

 

দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

Share:

Facebook
Twitter
WhatsApp
LinkedIn

You may also like

+ There are no comments

Add yours

Recent Articles