মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনজাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর (Manipur Violence)। ইতিমধ্যেই প্রাণ হারিয়েছেন ৮০ জন। পরিস্থিতি শান্ত করতে মণিপুর গিয়ে সেখানে শান্তি-প্রস্তাব রাখলেন অমিত শাহ।
Held a meeting with the delegations of Kuki and other communities at Moreh. They expressed strong support for the government's initiatives to restore normalcy in Manipur. pic.twitter.com/2H7uWNRvAA
— Amit Shah (@AmitShah) May 31, 2023
বৈঠকে দেওয়া হল প্রস্তাব
সোমবার রাতে চারদিনের সফরে মণিপুর পৌঁছন শাহ। রাজধানী ইম্ফলে নেমেই তিনি দফায় দফায় রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক সারেন। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ এবং মণিপুরের রাজ্যপালের সঙ্গেও বৈঠক করেন। মঙ্গলবার তিনি বৈঠক করেন সেনা কর্তা ও প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে। কথা বলেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও। এর পাশাপাশি, তিনি বিবাদমান জনজাতি গোষ্ঠী প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও মিলিত হন (Manipur Violence)। তাঁদের অভিযোগ শুনে সমস্যার মূলে পৌঁছে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বৈঠকে কুকি জনজাতি প্রতিনিধিদলের তরফে তাঁর সামনে একাধিক দাবি পেশ করা হয়। শাহ সবকিছু ধৈর্য সহকারে শুনে কথা দেন, সব দাবি বিবেচনা করা হবে। এর সঙ্গেই বিবাদমান দুই জনজাতি গোষ্ঠীর প্রতিনিধিদলের সামনে অমিত শাহ অনুরোধ করেন, ১৫ দিনের জন্য হিংসা থেকে নিজেদের বিরত রাখতে। শাহের মতে, হিংসা দিয়ে নয়, যে কোনও সমস্যার সমাধান খুঁজতে হবে শান্তির পরিবেশেই।
আরও পড়ুন: মণিপুরে আর্থিক সাহায্য কেন্দ্র-রাজ্যের! মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ, একজনকে চাকরি
সীমান্তবর্তী এলাকায় পরিদর্শন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
আজ বুধবার, মণিপুরের হিংসা বিধ্বস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শনে গেলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভারত-মায়ানমার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন গ্রাম ও জেলা, মূলত যেখানে অশান্তি ছড়িয়েছে, সেই জায়গাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি। এদিন কাঙ্গপোকপি জেলায় যান শাহ। মণিপুরের যে জেলাগুলিতে সবথেকে বেশি অশান্তি (Manipur Violence) ছড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কাঙ্গপোকপি। এই অঞ্চল কুকি অধ্যুষিত হলেও, সেখানে মৈতেই জনজাতিরও বসবাস রয়েছে। অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকেই দুই জনজাতির বাড়িই ভাঙচুর, আগুন লাগানোর ঘটনা ঘটেছে। মণিপুরের হিংসায় (Manipur Violence) নিহতদের পরিবারের জন্য গতকাল যৌথ আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করা হয়। সেই মোতাবেক কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার উভয় নিহতদের পরিবারপিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। এছাড়া, নিহতদের পরিবার থেকে একজনকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের খাদ্য সঙ্কট মেটাতে শীঘ্রই ২০ টন চাল বিলি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours