মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাইমারি টেট ইনস্টিটিউট নামে অফিস চালাতেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্যদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য। মহিষবাথানের ওই অফিসটি খোলা থাকত রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত। নিয়মিত সেই অফিসে যেতেন মানিক ভট্টাচার্য। সেখান থেকেই টাকার বিনিময়ে বেআইনিভাবে তৈরি হত নিয়োগ লিস্ট। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাজারহাটের কাছে মহিষবাথানে একটি চারতলা বহুতলের একতলায় চলত অফিসটি। এলাকাবাসী এই সংক্রান্ত খুব বেশি কিছু জানতেন না। তবে তাঁদের কথায়, নিয়মিত রাতে কিছু মানুষ আসতেন ওই অফিসে। মাঝে মাঝেই দেখা যেত পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককেও। তবে গত কয়েক মাস থেকে বন্ধ রয়েছে অফিসটি।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক ফিল্ড এজেন্ট এবং কয়েকজন অকৃতকার্য পরীক্ষার্থী যাঁরা পরে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁরাই জানিয়েছেন নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মহিষবাথানের এই অফিস থেকেই হত। এমনকী এই অফিস থেকেই মানিক ভট্টাচার্য লিস্ট তৈরি করা, বিভিন্ন প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা সমস্ত কিছুই চালাতেন। টেট-কেলেঙ্কারি নিয়ে সিবিআই তদন্ত শুরু হতেই ওই অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। শীঘ্রই ওই অফিসে তল্লাশি চালাবেন গোয়েন্দারা। তাঁদের অনুমান, ওখান থেকেই মিলতে পারে দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু নথি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার মানিক ভট্টাচার্য! টেট দুর্নীতির তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ ইডির
তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যকে (Manik Bhattacharya arrested) ১৪ দিনের ইডি হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ব্যাঙ্কশাল আদালত থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সিজিও কমপ্লেক্সে (CGO Complex) ইডি অফিসে। রাতে তাঁর পুত্রবধূ আসেন সেখানে। হাতে একটি ব্যাগে করে কিছু নিয়ে এসেছিলেন তিনি। ঘণ্টাখানেক সেখানে থেকে বেরিয়ে যান। তবে কেন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তা বলতে চাননি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের জামা-কাপর দিতেই ইডি অফিসে এসেছিলেন তাঁর আত্মীয়া।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।
+ There are no comments
Add yours