মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটি টাকারও বেশি সরকারি অর্থের কার্যত অপচয় করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)! লোকসভা নির্বাচনের আগে শিলিগুড়িতে দলের নেতা-কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে গেলেন দলের সুপ্রিমো। দু'দিনের প্রশাসনিক সফরে মঙ্গলবার বিকেলে শিলিগুড়িতে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার পৌঁছে দীনবন্ধু মঞ্চে বিভিন্ন উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক করেন। তারপরে ঘোষণা করেন, বুধবার শিলিগুড়িতে সিএএ'র প্রতিবাদে মহামিছিল করবেন। সেই মিছিল শেষে উত্তরবঙ্গের মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যার পাশের মাঠে প্রশাসনিক সভার নামে প্রকাশ্য জনসভা করার কথা ছিল। কিন্তু, হঠাৎ সেই কর্মসূচি বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবার উত্তরকন্যার অডিটোরিয়ামে প্রশাসনিক সভার নামে হাতে গোনা কয়েকজনকে জমির পাট্টা ও গরিবদের জন্য তৈরি ফ্ল্যাটের চাবি দিয়ে দুপুরে কলকাতার উদ্দেশে রওনা হন।
কোটি টাকা জলে! (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) ছবি দেওয়া ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড দিয়ে মঞ্চ, মাঠের চারদিক ও গোটা রাস্তা সাজিয়ে তোলা হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এই প্রশাসনিক সভার আয়োজন সফল করার জন্য প্রস্তুতি ছিল তুঙ্গে। বুধবার সকালে সেখানে শ্মশানের নিস্তব্ধতা নেমে আসে। ডেকরেটর কর্মীরা ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্যান্ডেল খুলে ফেলার কাজে। প্রশাসনিক সভার জন্য বিপুল আয়োজন ছিল। মাঠ জুড়ে বিশাল মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরি হয়েছিল। এতে সব মিলিয়ে খরচের পরিমাণ কোটি টাকারও বেশি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। কেননা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দেওয়া বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স, হোর্ডিং বানাতেই ২০ লক্ষ টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। এছাড়া প্যান্ডেল, লাইট ও মাইকের জন্য বিশাল খরচ হয়েছে। প্রশাসনিক সভা ছিল তাই সবটাই সরকারের খরচ। কোটি টাকা জলে চলে যায়।
আরও পড়ুন: দেড় বছর অপেক্ষা নয়, তার আগেই বিধানসভার ভোট, জনসভায় জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু
মুষড়ে পড়েছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা
মাঠ ভরানোর জন্য নির্দেশ মতো দলের নেতারা গাড়ি ভাড়া করে দলে দলে লোক আনার ব্যবস্থাও পাকা করে ফেলেছিলেন। হঠাৎ করে সেই কর্মসূচি বাতিল হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মাথায় হাত পড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলার এক তৃণমূল নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শিলিগুড়ি সফরের পরপর মুখ্যমন্ত্রীর (Mamata Banerjee) এই সভা আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভাকে সফল করার জন্য আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল লোক এনে মাঠ ভরানোর। গাড়ি ভাড়া করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক আনার ব্যবস্থাও হয়ে গিয়েছিল। এভাবে হঠাৎ কোনও কারণ ঘোষণা না করেই সভা বাতিল হওয়ায় সেইসব মানুষের কাছে জবাবদিহি করতে হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে এটা আমাদের কাছে বড় ধাক্কা। এর পরে মিটিং-মিছিলে লোক আনতে সমস্যায় পড়তে হবে। এভাবেই সরকারি অর্থ বাজে খরচের জন্যও ভোট প্রচারে দলকে কথা শুনতে হবে।
দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।
+ There are no comments
Add yours